—ফাইল চিত্র।
তিন বছর আগে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু যেতে পারেননি সে দেশের উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য। এ বার সব ঠিক থাকলে মলদ্বীপে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, প্রথম দিনেই সে দেশে উপস্থিতি থেকে চিনকে বার্তা দিতে চায় ভারত। তবে এখনও কিছুটা সংশয়ের মেঘ রয়েছে সে দেশে নতুন সরকার গড়ার পথে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ভোটে হেরে গেলেও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন এক বার শেষ চেষ্টা করতে পারেন কুর্সি আঁকড়ে রাখার। আড়াল থেকে এ কাজে তাঁকে সাহায্য করতে পারে চিন।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যৌথ বিরোধী দল। সূত্রের খবর, ইয়ামিন নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করার পরিকল্পনা করছেন। অভিযোগটি হল, ভোটে ব্যাপক কারচুপি করেছে বিরোধীরা। দেশের গোয়েন্দা বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে এ ব্যাপারে একটি রিপোর্টও তৈরি করিয়েছেন ইয়ামিন। সেই রিপোর্টে এই কারচুপির অভিযোগ সাজানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের অনুমান গোটা বিষয়টিতে আড়ালে সক্রিয় রয়েছে বেজিং। ইয়ামিন সরকার সরে গেলে সেখানে ভারতের প্রভাব যে বাড়বে, চিন সেটা মেনে নিতে পারছে না। ইতিমধ্যেই তারা সেখানে বিপুল লগ্নি করে ফেলেছে। প্রতিরক্ষা তথা সামরিক ভাবেও এই দ্বীপরাষ্ট্রকে অনেকটাই মুঠোয় পুরে ফেলতে পেরেছে গত কয়েক বছরে। ফলে ভূকৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ মলদ্বীপে আধিপত্য কায়েম রাখার টক্করে ভারতের কাছে এত সহজে হার মানতে রাজি নয় ড্রাগনের দেশ। আবার বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, কোণঠাসা প্রতিবেশী বলয়ে মলদ্বীপই পারে ভারতকে কিছুটা অক্সিজেন জোগাতে।
এই অবস্থায় সরাসরি কিছু করতে না পারলেও মোদী সরকার মলদ্বীপ নিয়ে কোন পথে চলে এখন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy