Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
নেহরুর নকল করতে নারাজ
International News

জাহাজ নাকচ! বিমানেই জাকার্তা যাবেন মোদী

সূত্রের খবর, জাহাজে সবং হয়ে নয়, আগামিকাল বিমানেই দিল্লি থেকে সরাসরি জাকার্তা যাচ্ছেন মোদী।

নরেন্দ্র মোদী

নরেন্দ্র মোদী

অগ্নি রায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৮ ০১:৩৭
Share: Save:

ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে অনুরোধ ছিল, আন্দামান থেকে সুমাত্রার সবং বন্দর পর্যন্ত সুসজ্জিত জাহাজে তাদের দেশে আসুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাগত জানানো হবে তাঁকে। সেই সঙ্গে সেরে ফেলা হবে ভারতের হাতে ওই বন্দর ব্যবহারের অধিকার তুলে দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা।

প্রস্তাবটি পেয়েই লুফে নেয় বিদেশ মন্ত্রক। নরেন্দ্র মোদীর দর্শনধারী বিদেশনীতির সঙ্গে দিব্য মানিয়ে যাবে নয়নশোভন এই জলবিহার। বার্তা দেওয়া যাবে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকেও। কিন্তু প্রথমে রাজি হলেও শেষ পর্যন্ত এই প্রস্তাবে পিছিয়ে এসেছেন মোদী। সূত্রের খবর, জাহাজে সবং হয়ে নয়, আগামিকাল বিমানেই দিল্লি থেকে সরাসরি জাকার্তা যাচ্ছেন মোদী।

কেন এই পরিবর্তন?

রাজনৈতিক সূত্র বলছে, মোদী সুমদ্রপথে ইন্দোনেশিয়া গেলে তা হুবহু জওহরলাল নেহরুকে নকল করা হয়ে যেত, লোকসভা নির্বাচনের আগে যেটি করতে চাইছেন না মোদী। ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার পর প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে নেহরুকে আমন্ত্রণ করেছিলেন তাঁর পরম মিত্র তথা সে দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট সুকর্ন। আইএনএস দিল্লি নামের যুদ্ধজাহাজ নিয়ে সাড়ম্বরে সুমাত্রার বন্দরে গিয়েছিলেন নেহরু, সেখানে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করা হয়েছিল।

গত কাল নেহরুর মৃত্যুদিবসে ‘মন কি বাতে’ রেডিও অনুষ্ঠানে মোদী তাঁর প্রশংসা করেছেন বটে, তবে সুযোগ পেলেই নেহরু ও তাঁর পরিবারতন্ত্রকে আক্রমণ করতে ছাড়েন না তিনি। তাই মনে করা হচ্ছে, ভোটের আগের বছরটি মোদীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে জাহাজে ইন্দোনেশিয়া গিয়ে প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে চাননি মোদী। তাই স্থির হয়েছে, সোজা উড়ানে জাকার্তা। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো ইউডোডোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সরকারের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতিকে জোরদার করা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। কথা হবে সমুদ্র যোগাযোগ এবং দ্বিপাক্ষিক সমুদ্র নিরাপত্তা বাড়িয়ে চিনের একাধিপত্যের মোকাবিলা করা নিয়েও। পাশাপাশি বালিতে ঘুড়ি ওড়ানোর কথা রয়েছে মোদীর। গুজরাতিদের মতো বালির বাসিন্দারাও ঘুড়ি পাগল। সেখানকার হিন্দু মন্দিরে প্রার্থনা করবেন প্রধানমন্ত্রী, যাবেন বৌদ্ধ মঠেও। ইন্দোনশিয়া থেকে মোদী যাবেন সিঙ্গাপুরে। সেখানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি ৫০টি রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে গঠিত ‘সাংগ্রিলা সংলাপ’-এ প্রধান বক্তা এ বার ভারতের। সব সেরে ২ জুন দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE