Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

অকাল ভোটের বিরোধিতায় কোর্টে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন দল 

সপ্তাহ দুই আগে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকারকে বরখাস্ত করে পার্লামেন্ট স্থগিত ঘোষণা করেছিলেন সিরিসেনা। প্রধানমন্ত্রী পদে বসান মাহিন্দা রাজাপক্ষকে। কিন্তু তাঁর সংখাগরিষ্ঠতা না থাকায় সিরসেনার কৌশল ব্যর্থ হয়।

প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা  সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলি আজ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।—ছবি রয়টার্স। 

প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলি আজ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।—ছবি রয়টার্স। 

কলম্বো
শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৭
Share: Save:

প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা ঘোষণা করে দিয়েছেন, শ্রীলঙ্কায় ভোট হবে আগামী বছর জানুয়ারিতে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলি আজ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল।

সপ্তাহ দুই আগে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকারকে বরখাস্ত করে পার্লামেন্ট স্থগিত ঘোষণা করেছিলেন সিরিসেনা। প্রধানমন্ত্রী পদে বসান মাহিন্দা রাজাপক্ষকে। কিন্তু তাঁর সংখাগরিষ্ঠতা না থাকায় সিরসেনার কৌশল ব্যর্থ হয়। শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে তৈরি হয় অচলাবস্থা। রাজনৈতিক অস্থিরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এরই মধ্যে গত শুক্রবার স্থগিত রাখা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে জানুয়ারিতে ভোট করানোর কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এরই বিরুদ্ধে আজ আদালতের দ্বারস্থ হল প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি। আবেদনকারী ১০টি দলের তালিকায় রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী রনিলের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি, প্রধান বিরোধী দল তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স, বামপন্থী পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট।

শীর্ষ আদালতের এক আধিকারিক জানান, আজ সকালেই আবেদন গৃহীত হয়েছে। শুনানি কবে শুরু হবে, প্রধান বিচারপতিই তা ঠিক করবেন। ওই আধিকারিক জানান, শুধু রাজনৈতিক দল নয় নাগরিক সমাজের তরফেও একাধিক আবেদন জমা পড়েছে সিরিসেনার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: খাশোগি-খুনে সাঁড়াশি চাপ সৌদিকে

প্রেসিডেন্ট অকাল ভোটের সিদ্ধান্ত জানানোর পরে গত কাল স্পিকার কারু জয়সূর্য সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাকে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অমান্য করার আবেদন জানিয়েছিলেন। সকলকে জোট বাধার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দেশের গণতন্ত্র অক্ষুণ্ণ রাখতেই এটা করা দরকার।’’ কিন্তু এটা কার্যত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আমলাতন্ত্রের বিদ্রোহে পরিণত হত। তাতে গণতন্ত্রই বিপন্ন হবে বলে মনে করছে রাজনীতিকদের একাংশ। তার বদলে বিতর্কের বল কোর্টের দিকে ঠেলে দেওয়াকেই গণতান্ত্রিক পথ বলে মনে করছেন তাঁরা। সিরিসেনার বিরোধীরা মনে করেন, সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকারের সাড়ে চার বছর পূর্ণ হওয়ার আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার অধিকার নেই প্রেসিডেন্টের। আদালতেই তা প্রমাণ হয়ে যাবে।

পার্লামেন্ট ভাঙার পরে জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় সিরিসেনা ষুক্তি দিয়েছিলেন, পার্লামেন্ট শুরু হলে বিক্ষুব্ধ জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারত। যা ছড়িয়ে পড়তে পারত গোটা দেশে। আগাম সতর্কতা হিসেবেই পার্লামেন্ট ভেঙেছেন তিনি।

গোটা দ্বীপরাষ্ট্রর নজর তাই সুপ্রিম কোর্টের দিকে।

সংবাদ সংস্থা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Srilanka Election Court Maithripala Sirisena
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE