নৌবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার বার্তা শি চিনফিংয়ের।— ফাইল চিত্র
লাদাখে সীমান্ত সঙ্ঘাতের মধ্যেই দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। বুধবার গুয়াংডং প্রদেশের একটি সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন চিনফিং।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘জিনহুয়া’ জানাচ্ছে, গুয়াংডং প্রদেশের চাওঝাও শহরে চিনের গণমুক্তি ফৌজের নৌবাহিনীর যে ঘাঁটি রয়েছে সেখানে যান চিনফিং। কোরের সদস্যদের ‘চূড়ান্ত সতর্ক’ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাহিনীর উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘আপনাদের মন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে রাখুন।’’
বাহিনীর প্রতি চিনফিংয়ের এই বার্তা মুহূর্তেই সাড়া ফেলে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। আসলে তিনি যে ঘুরিয়ে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন সে কথাও স্পষ্ট। কিন্তু চিনের নিশানায় কোন দেশ? সম্প্রতি তাইওয়ান প্রণালী (চিন এবং তাইওয়ানের মাঝে প্রণালী)-তে নজরে এসেছে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ। যদিও আমেরিকার তরফে বলা হচ্ছে এটা ‘রুটিন’ সফর। কিন্তু ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের পিছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য দেখছে বেজিং। আর তা নিয়েই দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পারদ নতুন করে চড়ছে বলে আন্তর্জাতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করছে। তাঁদের ধারণা, সে কারণেই মেরিন কোরের সদস্যদের যুদ্ধের জন্য ‘প্রস্তুত’ থাকার বার্তা দিয়েছেন চিনফিং।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবডির আয়ু পাঁচ-সাত মাস, দাবি গবেষকদের
আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় টিকায় ছাড়পত্র দিল রাশিয়া
ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর সিদ্ধান্তের কড়া নিন্দা করেছে বেজিং। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান বলেন, ‘‘তাইওয়ানে সামরিক অভিযান বাতিল করুক আমেরিকা।’’ আমেরিকা এবং তাইওয়ানের মধ্যে সামরিক চুক্তি বাতিলেরও দাবি তুলেছে তারা। তবে ওয়াশিংটনের তরফে পাল্টা বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনেই মার্কিন বিমান বাহিনীর জাহাজ চলবে এবং বিমান উড়বে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy