প্রতীকী ছবি।
পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট হাউসের বিরুদ্ধে ভাষণ চুরি করে তা হাতবদল করার অভিযোগ তুলে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে মামলা করল ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়া। শুক্রবার মহম্মদ সাবিল হায়দার নামে ওই পড়ুয়া এই মামলায় কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে পাক প্রেসিডেন্টের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পাকিস্তানের ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার রেগুলেটরি অথরিটি, পাক টেলিভিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে। অভিযোগ, সাবিলের লেখা ভাষণ চুরি করে এক ছাত্রীর হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছিল।
সূত্রের খবর, ১১ বছরের সাবিল ইসলামাবাদ মডেল কলেজ ফর বয়েস-এ ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। গত ২২ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট হাউসে মহম্মদ আলি জিন্নার ১৪১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে সাবিলের ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। ১৪ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট হাউসের তরফ থেকে সাবিলকে ওই দিন বক্তব্য রাখাতে বলে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই মতো নিজের ভাষণ লিখে প্রেসিডেন্ট হাউসে পাঠিয়ে দেয় সে। তাঁর লেখা নির্বাচিত হওয়ার পর জোরকদমে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে সে। যা করতে গিয়ে স্কুলের বার্ষিক টেস্ট পরীক্ষায় ইংরাজি এবং বিজ্ঞান বিষয়ের দু’টি পরীক্ষা দিতে পারেনি।
২২ ডিসেম্বর সময়মতো প্রেসিডেন্ট হাউসে পৌঁছে যায় সাবিল। তাকে মেক-আপ রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাষণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হওয়ার পর তার জন্য সংরক্ষিত আসনে বসতেও বলা হয় সাবিলকে। এর কিছু ক্ষণ পরে তাকে জানানো হয় যে, সে নয় উল্টে তার জায়গায় অন্য এক পড়ুয়া ভাষণ দেবে। ঘটনার আকস্মিকতায় খুব খারাপ লাগলেও এই পর্যন্ত সাবিল বা তার পরিবার কোনও প্রতিবাদ করেনি। যথারীতি সাবিলকে না ডেকে অন্য এক ছাত্রীকে ভাষণের জন্য মঞ্চে ডাকা হয়। কিন্তু ঘটনার মোড় ঘোরে ওই ছাত্রী মঞ্চে ভাষণ দিতে শুরু করতেই। সাবিল ও তার পরিবারের অভিযোগ, দশম শ্রেণির পড়ুয়া ওই ছাত্রীর ভাষণ তার লেখা ভাষণের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছিল। যে অনুষ্ঠানটি ২৫ ডিসেম্বর টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়ার কথা। অর্থাৎ তার লিখিত ভাষণই হাতবদল হয়ে ওই ছাত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর সাবিলের তরফে বাবা নাসিমআব্বাস নাসির আদালতে ভাষণ চুরি করে তা হস্তান্তর করার মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: অর্ডিন্যান্সে তাঁর ৫ বার সইয়ের পরেও কেন আইন হল না? ক্ষুব্ধ প্রণব
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy