Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের তুরুপ কি থাপারই!

শীর্ষ আদালতে ৯ সদস্যের বেঞ্চ থেকে সম্প্রতি অবসর ঘোষণা করেছেন অশীতিপর বিচারপতি অ্যান্টনি কেনেডি। ৩১ জুলাই পর্যন্ত ওই পদে আছেন তিনি।

আমুল থাপার

আমুল থাপার

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৮ ০৩:০২
Share: Save:

থাপার। আমুল থাপার। হোয়াইট হাউস থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের অলিন্দ— আপাতত এই নামটাই ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র। শোনা যাচ্ছে, পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতকেই দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে মনোনীত করতে চলছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শীর্ষ আদালতে ৯ সদস্যের বেঞ্চ থেকে সম্প্রতি অবসর ঘোষণা করেছেন অশীতিপর বিচারপতি অ্যান্টনি কেনেডি। ৩১ জুলাই পর্যন্ত ওই পদে আছেন তিনি। তাঁর জায়গায় কে আসবেন, এ নিয়ে জল্পনা ছিলই। সম্প্রতি হোয়াইট হাউস জানায়, প্রাথমিক ভাবে ২৫ জনকে বাছা হয়েছে। ইতিমধ্যেই থাপার-সহ মোট চার জনের ইন্টারভিউ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিজে। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘আরও কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে ৯ তারিখেই চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করব।’’ তার পর সেনেট অনুমোদন দিলেই চাকরি নিশ্চিত।

কিন্তু সেই দৌড়ে কে যে এগিয়ে, তা নিয়ে হোয়াইট হাউসের তরফে এখনও কোনও ইঙ্গিত নেই। তবু থাপারকে নিয়েই অঙ্ক কষা শুরু করে দিয়েছেন রাজনীতিকদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, ইতিমধ্যেই সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিচ ম্যাকোনেলের সমর্থন জোগাড় করে ফেলেছেন থাপার। আর তা নিজের কৃতিত্বেই। দক্ষিণ-এশীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে থাপারই আমেরিকার প্রথম আর্টিকেল-থ্রি বিচারক। গত বছর সিক্সথ সার্কিট কোর্টে ট্রাম্পই তাঁকে মনোনীত করে আনেন। ম্যাকোনেলের কথায়, ‘‘থাপার অসাধারণ। সুপ্রিম কোর্টে আসার মত সব গুণই আছে ওঁর। একেবারেই অন্য ধাতুতে গ়ড়া একটা মানুষ।’’

কূটনীতিকদের অনুমান, সেনেটের সংখাগরিষ্ঠ নেতার এই আগাম শংসাপত্র ছাড়াও থাপারের পাল্লা ভারী আর এক ভারতীয়
বংশোদ্ভূতের কারণে। তিনি, রাজ শাহ। নয়া বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নীতি পালন এবং যোগাযোগের দায়িত্ব এখন তাঁকেই দিয়ে রেখেছেন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্সের কথায়, ‘‘প্রেসিডেন্ট চাইছেন সুপ্রিম কোর্টে এক জন বুদ্ধিমান এবং যোগ্য ব্যাক্তিকে নিয়ে আসতে। আশা করছি রাজ শাহ সেই কাজটা সুষ্ঠু ভাবেই সম্পন্ন করবেন।’’

কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, ট্রাম্প এ বার সুপ্রিম কোর্টেও নিজের প্রভাব বাড়াতে চলেছেন। তাই পছন্দের লোক খুঁজছেন। ৪৫ মিনিট ধরে কথা বলেছেন থাপারের সঙ্গে। ইঙ্গিতটা স্পষ্ট।

থাপারকে মনোনীত করার পিছনে অনেকে আবার ভোটের অঙ্কও দেখছেন। ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এশীয় ভোট পড়েছিল মাত্র ৪ শতাংশ। নেভাদা আর ভার্জিনিয়ায় এশীয়দের একটা বড় ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। তাই এই দু’টি স্টেট দখল করা নিয়ে বিস্তর মাথাব্যথা রয়েছে রিপাবলিকানদের। কূটনীতিকদের অনুমান, থাপারকে সুপ্রিম কোর্টে এনে সেই বাধাও টপকাতে চাইছে
ট্রাম্পের দল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE