প্রতিবাদী মিছিল হংকং-এ।
‘গণতন্ত্রের নাম করে’ হংকংয়ের মাটি থেকে চিনের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করার কোনও চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। ব্রিটিশ উপনিবেশের পর্ব শেষে হংকংয়ে চিনা শাসন প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চিনফিং এখন হংকং সফরে। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে আজ এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
নির্বাচনী সংস্কার চেয়ে ২০১৪ সালে বিরাট প্রতিবাদ দেখেছিল হংকং। সেই থেকে আন্দোলন চলেই আসছে এখানে। ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই চিনা শাসনের আওতায় আসার পর থেকে এই অঞ্চলের নাম হয় ‘হংকং স্পেশ্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিজিয়ন’। আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’— হংকংয়ের ক্ষেত্রে এই কাঠামো বজায় রাখার কথা বলেছিল চিন। কিন্তু উল্টে তাদের দমনপীড়নই ক্রমশ বাড়ছে।
চিনের সর্বোচ্চ নেতা তথা প্রেসিডেন্ট চিনফিং আজ বিক্ষুব্ধদের হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ‘‘চিনা সরকারের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করা, হংকংয়ের আইন খর্ব করা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, অনুপ্রবেশ বা চিনা ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের ষড়যন্ত্রে হংকংকে ব্যবহার করার মতো যে কোনও চেষ্টাকে চরমসীমা লঙ্ঘন বলে মনে করা হবে।’’ চিনা শাসনের দু’দশক উদ্যাপনের পাশাপাশি চিনফিংয়ের হংকং সফরের উপলক্ষ হল এখানকার সর্বোচ্চ পদাধিকারী (চিফ এগ্জিকিউটিভ) ক্যারি লাম ও তাঁর মন্ত্রিসভার শপথ। চিনফিংয়ের সফরের আগেও চিনপন্থী গোষ্ঠী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে গণতন্ত্রপন্থীদের। ফলে নিরাপত্তাও ছিল আঁটোসাঁটো।
রোশনাই: চিনা শাসনের কুড়ি বছর। আতসবাজির প্রদর্শনী হংকংয়ের ভিক্টোরিয়া হারবারে। ছবি: এএফপি
চিনফিং আজ দাবি করেন, হংকংয়ের মানুষ এখন আগের চেয়ে বেশি স্বাধীন। স্বশাসনের ছাতার তলায় তাঁরা স্থানীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাঁর মতে, দুনিয়ার অর্থনৈতিক পরিবেশ এখন বদলাচ্ছে। আবহটা প্রতিযোগিতার। হংকংয়ের সামনে তাই অনেক চ্যালেঞ্জ। সব কিছুকে রাজনৈতিক রং দিয়ে ইচ্ছাকৃত বিভেদ বা সঙ্ঘাত তৈরি করলে আদৌ কোনও লাভ হবে না। চিনফিংয়ের কথায়, ‘‘দেশকে, হংকংকে যিনি ভালবাসেন, যিনি ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ এবং হংকংয়ের আইনকে সমর্থন করেন— তাঁদের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসতে তৈরি। সে
তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় যা-ই হোক না কেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy