পদত্যাগ করলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির মহম্মদ।
গত কয়েক দিন ধরেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল টালমাটাল। শেষমেশ পদত্যাগ করলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির মহম্মদ। আজ দুপুরে দেশের রাজার কাছে তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর দল বেরসাতুর এক মুখপাত্র। প্রধানমন্ত্রিত্বের সঙ্গে সঙ্গে নিজের দলের প্রধানের পদও আজ ছেড়েছেন ৯৪ বছরের মহাথির।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর পরেই মালয়েশিয়া জুড়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তা হলে কি বর্তমান জোট সরকার ছেড়ে বহু দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী দল ইউএমএনও (ইউনাইটেড মালয়েস ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন)-র সঙ্গে ফের হাত মেলাতে চলেছেন মহাথির? কোনও পক্ষই এ নিয়ে এ দিন রাত পর্যন্ত মুখ খোলেনি। তবে মহাথিরের দলের সঙ্গে ইউএমএনও-র প্রতিনিধিদের দফায় দফায় আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি।
২০১৮ সালে এই ইউএমএনও-র জোট সরকারকে হারিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন মহাথির ও তাঁর জোট সরকার। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রজাকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। দু’বছর আগের ভোটে তাঁকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন মহাথির। তাঁর সঙ্গে জোট বাঁধেন তাঁর আর এক প্রতিদ্বন্দ্বী আনওয়ার ইব্রাহিম। ক্ষমতায় এসে মহাথির তখন বলেছিলেন, যে কোনও সময়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ তিনি আনওয়ারের হাতে তুলে দিতে পারেন। তবে কখনওই এ নিয়ে কোনও দিনক্ষণ ঘোষণা করেননি মহাথির। আজ তাই প্রথমে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তাঁর পদত্যাগের পরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব যাবে আনওয়ারের হাতে। কিন্তু এখনও তেমনটা হয়নি। উল্টে মহাথির নিজে জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি জটিল। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে নাজিবের দল ইউএমএনও-র সঙ্গে তাঁর জোট বাঁধার সম্ভাবনাও।
নিজের দলের কিছু লোকই নাকি তাঁকে ক্ষমতায় আসতে দিতে চান না বলে অভিযোগ স্বয়ং আনওয়ারের। আজ সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, মহাথির যখন পদত্যাগপত্রে সই করেন, তখন তিনি তাঁর পাশেই ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে আজ দর পড়েছে মালয়েশীয় মুদ্রা রিঙ্গিটের। শেয়ার বাজারেও ধস নেমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy