ভ্লাদিমির পুতিন এবং শি চিনফিং। ছবি: পিটিআই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গোড়া থেকেই এঁদের ‘শত্রু’ বলে মনে করেন। এঁরা জুটিতে আমেরিকার আর্থিক উন্নয়নে বাগ়ড়া দিচ্ছে বলে বহু বার তোপও দেগেছেন। আর আজ গোটা দুনিয়া দেখল মার্কিন ‘শত্রু শিবিরে’ কতখানি ভাব।
সদ্যই চতুর্থ দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার পরে আজ প্রথম বেজিংয়ে পা রাখলেন। তিনি গ্রেট হলে পৌঁছনোর পরেই উষ্ণ অভ্যর্থনার হাত বাড়িয়ে দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। পরে পুতিন সাংবাদিকদের বললেন, ‘‘চিনফিং বরাবরই বন্ধু। উনি একমাত্র রাষ্ট্রনেতা, যিনি আমাকে নিয়ে নিজের জন্মদিন পালন করেছেন। সঙ্গে সসেজ ছিল, আর ভদকাও।’’
এই সপ্তাহের শেষে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে বসবেন দুই প্রেসি়ডেন্ট। তাই কয়েকটা দিন এমন ‘গলায়-গলায়’ ফ্রেম আরও কিছু নজরে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার কূটনীতিক আলেকজ়ান্দার গাবুয়েভ বলেন, ‘‘এই দুই বন্ধু নিজের নিজের দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে চান। ঘটনাচক্রে দু’জনেই আমেরিকার আগ্রাসী কর্তৃত্বে অসন্তুষ্ট।’’ জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল ইনফরমেশন স্টাডিজ়ের ডিরেক্টর মারিয়া রেপনিকোভার কথায়, ‘‘আন্তর্জাতিক আঙিনায় রাশিয়াকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলার পিছনে চিনের একটা বড় ভূমিকা আছে। একই ভাবে, চিনকে সামনে রেখেই রাশিয়া আমেরিকাকে বোঝাতে চাইছে যে, আন্তর্জাতিক দরকষাকষির ক্ষেত্রে তাদের হাতে বিকল্প এসে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy