Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সমুদ্রের তলায় রুশ জাহাজ, সোনার খোঁজে তোলপাড়

১৯০৫ সালে ডুবে যাওয়া একটি রুশ জাহাজের খোঁজ পেয়েছে তারা, যাতে প্রচুর সোনাদানা আছে বলে অনুমান।

সেই জাহাজের অংশ।

সেই জাহাজের অংশ।

সংবাদ সংস্থা
সোল শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৮ ০২:২৫
Share: Save:

আবার সে এসেছে ফিরিয়া...। সমুদ্রের তলায় জাহাজের কুঠুরিতে গোপন সোনাদানা নিয়ে ফের জমজমাট জল্পনা। দক্ষিণ কোরিয়ার শিনিল নামে একটি সংস্থা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ১৯০৫ সালে ডুবে যাওয়া একটি রুশ জাহাজের খোঁজ পেয়েছে তারা, যাতে প্রচুর সোনাদানা আছে বলে অনুমান।

দিমিত্রি দনস্কোই নামে ওই জাহাজটি রুশ-জাপান যুদ্ধ চলাকালীন (যাতে পরে হেরে যায় মস্কো) ১৯০৫ সালে এখনকার দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মধ্যবর্তী জলসীমায় তলিয়ে যায়। তার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গল্প ছড়িয়েছে নানা সময়।

২০০০ সালের গোড়ায় একবার দনস্কোইয়ের খোঁজ মিলেছে বলে রটেছিল। তার ভিত্তিতে দেউলিয়া সংস্থারও শেয়ার বেড়েছিল চড়চড় করে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া পরে ওই জাহাজ খুঁজে পাওয়ার খবর অস্বীকার করে। এখন শিনিল ফের দাবি করছে, জাহাজটির মূল্য একশো কোটি ডলারের কাছাকাছি। তবে তার ভিতরে কত সোনা আছে বা সেই সোনার অর্থমূল্য কত, তা এখনও অস্পষ্ট। দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্র এবং মৎস্য মন্ত্রক জানিয়েছে, শিনিল এখনও জাহাজ উদ্ধারের অধিকার পেতে আবেদন জানায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, অভিযানের পরে উদ্ধার হওয়া সম্পদের ১০ শতাংশ স্থানীয় জলপুলিশকে দেবে সংস্থা।

জনশ্রুতি বলে, যুদ্ধে অর্থ ঢালতে রুশ কনভয়ের এই জাহাজে বহুমূল্য সম্পদ ভরেছিলেন ধনীরা। এর মধ্যে ছিল জ়ারের সম্পত্তিও। যার মূল্য এখন ছুঁতে পারে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি ডলার। কিন্তু সেন্ট পিটার্সবার্গের সেন্ট্রাল নাভাল মিউজ়িয়াম-এর প্রধান গবেষক সের্গেই ক্লিমভস্কি বলেছেন, ‘‘আমাদের যত দূর ধারণা জাহাজে কিছু সোনার মুদ্রা ছিল,অফিসারদের বেতন দেওয়ার জন্য। সোনার স্তূপ বলতে যা বোঝায়, তা নেই। আর সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ভ্লাদিভস্তকে পাঠাতে জাহাজে করে সোনা পাঠানো হাস্যকর। রেলপথ অনেক সুরক্ষিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Warship Gold
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE