Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
International News

পাকিস্তানে সর্বজিৎ সিংহ হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস দুই অভিযু্ক্ত

বিচারক মহম্মদ মইন খোকার জানান, এই মামলায় সমস্ত প্রত্যক্ষদর্শীই নিজের বয়ান প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে দুই অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দেন বিচারক।

লাহৌর জেলে বন্দি থাকাকালীন সর্বজিৎ সিংহের মুক্তির জন্য লড়াই শুরু করে ভারত সরকার।  —ফাইল চিত্র।

লাহৌর জেলে বন্দি থাকাকালীন সর্বজিৎ সিংহের মুক্তির জন্য লড়াই শুরু করে ভারত সরকার। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
লাহৌর শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:৫১
Share: Save:

পাকিস্তানে জেলবন্দি থাকাকালীন ভারতীয় নাগরিক সর্বজিৎ সিংহেহত্যাকারী দুই অভিযুক্তকে মুক্তি দিল লাহৌরের এক আদালত।

বছর পাঁচেক ধরে ঝুলে থাকার পর শনিবার এই মামলার রায় দেয় লাহৌরের এক জেলা ও দায়রা আদালত। উপযুক্ত প্রমাণের বেকসুর খালাস পান এই মামলায় অভিযুক্ত দুই পাক নাগরিক আমির তান্ডবা এবং মুদাসির মুনির।

গত কাল রায় ঘোষণার সময় বিচারক মহম্মদ মইন খোকার জানান, এই মামলায় সমস্ত প্রত্যক্ষদর্শীই নিজের বয়ান প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে দুই অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দেন বিচারক।

(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)

আরও পড়ুন: ক্যানসারের ভুয়ো নথি দেখিয়ে আড়াই কোটি টাকা তুললেন এই মহিলা!

১৯৯১ সালে ভারতীয় নাগরিক সর্বজিৎ সিংহকে প্রাণদণ্ডের নির্দেশ দেয় পাক আদালত। পাক সরকারের অভিযোগ, ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে জড়িত ছিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদী তথা ভারত সরকারের গুপ্তচরের তকমা দিয়ে তাঁকে জেলবন্দি করা হয়। লাহৌর জেলে বন্দি থাকাকালীন সর্বজিতের মুক্তির জন্য লড়াই শুরু করে ভারত সরকার। পাক সরকারের কাছে একাধিক বার সর্বজিতের প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। তবে তা সবই বিফলে যায়। যদিও ২০০৮-এ সর্বজিতের প্রাণদণ্ড অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতুবি রাখে পাক সরকার। এর পর ২০১৩-তে লাহৌরের কোট লাখপত জেলে তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় অন্য কয়েদিরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান সর্বজিৎ।

আরও পড়ুন: ৫১ দিন পর প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরলেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে

পাকিস্তানের দণ্ডবিধির ৩২৪/ ৩৪ ধারা অনুযায়ী সর্বজিৎকে পরিকল্পনা করে গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে খুনের মামলাও রুজু করা হয়। সেই মামলাতেই মূল অভিযুক্ত ছিল আমির তান্ডবা এবং মুদাসির মুনির। এক সদস্যের তদন্ত কমিটিও গড়া হয়। তবে সেই কমিটির রিপোর্ট কখনও দিনের প্রকাশ করা হয়নি।

(সারাবিশ্বের সেরা সব খবরবাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE