দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কর্মচারী মিডোকে বিদায় জানাচ্ছেন পরিবারের কর্তা আওয়াদ অল শেমরি। ছবি: টুইটার।
৩৫ বছর ধরে সৌদি আরবের একটি পরিবারের জন্য কাজ করছিলেন ভারতের মিডো শিরীয়ান। আর তাঁকেই জাঁকজমক ভাবে বিদায় জানাল সৌদির ওই পরিবার।
সৌদির ওই পরিবারে খেতমজুর হিসেবে কাজ করতে হত মিডোকে। সঙ্গে বাড়িতে অতিথিদের খাবারদাবার পরিবেশনের কাজটিও করতেন তাঁদের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কর্মচারী মিডো। ওই পরিবারেরই একটি গেস্ট হাউস রয়েছে সৌদির হেইল শহরে। সৌদি আরবের উত্তর প্রান্তে হেইল আর অল-জউফ শহরের পাহাড়ি এলাকা ঘুরতে গিয়ে এই গেস্ট হাউসেই উঠতেন পর্যটকেরা। আর সেখানে পর্যটকদের দেখভাল করতেন মিডো।
সৌদির ওই অল শেমরি পরিবারের ছোট থেকে বড় প্রায় সক্কলেই হাজির হয়ে গিয়েছিলেন দীর্ঘ দিনের প্রিয় মিডোকে বিদায় জানাতে। মিডোকে কোলাকুলি করার জন্য রীতিমতো লাইন পড়ে গিয়েছিল। তাঁকে উপহারের ডালি দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন ওই পরিবারের প্রায় প্রত্যেকেই। বিদায় জানানোর মুহূর্তেই মোটা অঙ্কের টাকার তাঁর হাতে তুলে দেন।পরিবারের কর্তা আওয়াদ অল শেমরি। তাঁর জীবদ্দশায় পেনশেন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
❤| #حائل الكرم والوفاء..
— م. ياسر النازح (@Yasir_Alnazih) November 30, 2018
عائلة عواد خضير الشمري تودع العامل ميدو بابو الذي يعمل لديها لأكثر من 35 عاما بحفل وداع وتقديم هدايا مادية وعينية من جميع أفراد الأسرة. pic.twitter.com/bmZaEZDAcS
আওয়াদের কথায়, ‘‘মিডোর সততা, ঔদার্য এবং আনুগত্যে আমরা মুগ্ধ। তিন দশক ধরে আমাদের পরিবারের সঙ্গে ও আছে। এক দিনের জন্যও আমাদের পরিবারের লোকজনকে কোনও অসুবিধাবুঝতে দেয়নি।’’
আরও পড়ুন: ধ্বংসের অপেক্ষায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এই হিন্দু তীর্থক্ষেত্র
আরও পড়ুন: ‘ঈশ্বর নেই, সবটাই মানুষের দুর্বলতা’
আটের দশকে কাজের খোঁজে সৌদি পাড়ি দিয়েছিলেন মিডো শিরীয়ান। আর তার পরে হুট করেই এক দিন ওই পরিবারের নজরে পড়ে যান মিডো। কাজও পেয়ে যান ওই পরিবারেরই দেখভাল করার। তবে কিছু দিন ধরেই শরীরের নানান সমস্যায় ভুগছিলেন শিরীয়ান। আর তাই তাঁকে এ বার ছুটি দেওয়া দরকার বলেই জানালেন অল শেমরি পরিবারের কর্তা আওয়াদ অল শেমরি।
(সারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়েবাংলায় খবরপেতে চোখ রাখুন আমাদেরআন্তর্জাতিকবিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy