Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

রাহাফকে নিয়ে চিন্তায় রাষ্ট্রপুঞ্জ

মঙ্গলবার ব্যাঙ্ককে রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই দফতরের তরফে জানানো হয়, তাইল্যান্ডে ওই মহিলার আশ্রয় নিশ্চিত করতে বেশ সময় লাগবে। বিষয়টি বিবেচনাধীন।

বছর ১৮-র সৌদি তরুণী রাহাফ মহম্মদ আল-কুনুন। ছবি: সংগৃহীত।

বছর ১৮-র সৌদি তরুণী রাহাফ মহম্মদ আল-কুনুন। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
ব্যাঙ্কক শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:৫৯
Share: Save:

পরিবারের সঙ্গে থাকলে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে। তাই কুয়েত থেকে পালিয়ে তাইল্যান্ডে চলে আসেন বছর ১৮-র সৌদি তরুণী রাহাফ মহম্মদ আল-কুনুন। টুইট করে জানিয়েছিলেন, তাইল্যান্ডেই আশ্রয় চান তিনি। তাঁকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরে তিনি আশ্রয় পান রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক দফতরে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্ককে রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই দফতরের তরফে জানানো হয়, তাইল্যান্ডে ওই মহিলার আশ্রয় নিশ্চিত করতে বেশ সময় লাগবে। বিষয়টি বিবেচনাধীন।

পরিবারে তিনি মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ করেছেন রাহাফ। তাঁর দাবি, এর থেকে মুক্তি পেতেই তিনি প্রথমে সিদ্ধান্ত নেন, অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন। পরে সিদ্ধান্ত বদলে তাইল্যান্ডে অবতরণ করলে সেখানে সৌদি দূতাবাসের কর্তারা তাঁকে হোটেলে নিয়ে যান এবং সেখান থেকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা হলে ওই তরুণী নিজেকে হোটেলের ঘরে বন্দি করে ফেলেন। ঘরের ভিতর আসবাব দিয়ে নিজেকে ঘিরে ফেলার পাশাপাশি, আশ্রয়ের আর্জি জানিয়ে একাধিক টুইট করেন। সেটি দ্রুত ভাইরাল হয়। পরে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী দফতরের হাতে। #সেভ রাহাফ হ্যাশট্যাগে ব্যাঙ্কক বিমানবন্দর থেকে আরবি এবং ইংরেজিতে করা রাহাফের পোস্টগুলি সাড়া ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর ফলোয়ার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার।

তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে রাহাফকে দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত বদল করায় তাইল্যান্ডের অভিবাসন দফতরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক দফতর। কারণ, কেউ কোনও দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় চাইলে তাঁকে আবার সেই দেশে ফেরানো রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই দফতরের নীতি-বিরুদ্ধ।

একটি মার্কিন সংবাদপত্রের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, তাইল্যান্ডের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে ভিসার জন্য কথা বলতে যাওয়ার সময় রাহাফকে একটি ‘শান্তি-চুক্তি’তে সই করতে চাপ দেন এক দল সৌদি কূটনীতিক। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর পাসপোর্টটিও। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সৌদি দূতাবাস। রাহাফের কাছে কোনও আধিকারিককে পাঠানো হয়নি বলেই দাবি তাদের। রাহাফের পাসপোর্টটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলে টুইট করে জানিয়েছে তারা। সৌদির তরফে বলা হয়েছে, মেয়েকে ফেরাতে সাহায্য চেয়ে রাহাফের বাবা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

রাহাফের দাবি, কুয়েতে ফেরানো হলে হয় আটকে রাখা হবে নয়তো খুন করা হবে তাঁকে। তিনি জানান, এর আগেও চুল ছোট করে কাটার জন্যে মাস ছয়েক বন্দি করে রাখা হয়েছিল তাঁকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE