ভোর ৪টে নাগাদ গুলির শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল প্রতিবেশীদের। ক্যাঙারু মারছে ভেবে গা করেননি কেউ। দক্ষিণ-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ছবির মতো সাজানো গ্রাম অসমিংটনে এমনটা হয়েই থাকে। কিন্তু শুক্রবার সকালে ঘুম ভেঙে উঠে তাঁরা যা দেখলেন, তাতে শিউরে উঠছেন গাঁয়ের মানুষ। এলাকার এক সম্পন্ন গৃহস্থের বাড়ি থেকে এ দিন উদ্ধার হয়েছে সাত জনের গুলিবিদ্ধ দেহ। তাঁরা সবাই একই পরিবারের।
ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরেই থাকেন মেগ জেনস। ৬৮ বছরের বৃদ্ধা মেগ জানালেন, বছর তিনেক আগে বাবা-মা, চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে অসমিংটনের ওই বাড়িতে এসেছিলেন ক্যাটরিনা মাইলস নামে এক মহিলা। হাসিখুশি, ঝলমলে পরিবারটিকে সবাই এক ডাকে চিনত। কারও কোনও বিপদ হলে ওঁরা ঝাঁপিয়ে পড়তেন। এমন প্রতিবেশীর এ হেন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউই। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, সম্ভবত খুন নয়। বাইরে থেকে কেউ এসে সাত জনকে হত্যা করেছে বলে মনে হয় না।
অনুমান, মৃতদের মধ্যে কেউ বাকিদের গুলি করে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে সে বিষয়ে খোলসা করে কিছুই জানাচ্ছে না পুলিশ। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার এক পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, এ দিন সকাল ৫টা নাগাদ একটা ফোন আসে থানায়। ওই বাড়ির কোনও পরিচারক সম্ভবত ফোন করেছিল। গণহত্যার খবর শুনেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। বাড়ির ভিতরেই মেলে চার শিশু-সহ পাঁচ জনের রক্তাক্ত দেহ। উঠোনে পড়ে আরও দু’জন। ঘটনাস্থলে দু’টি বন্দুক উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানাচ্ছে, এ হেন শান্ত জায়গায় তো বটেই, দু’দশকে এমন ভয়ানক গণহত্যার ঘটনা ঘটেনি অস্ট্রেলিয়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy