নির্বাচনের মুখে দাঁড়ানো বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে শুভেচ্ছার বার্তা দিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুজোয় ষষ্ঠীর দিন ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান তিনি। আর সে দিনই দখল হয়ে যাওয়া মন্দির সংলগ্ন প্রায় ২৭ কাঠা জমি মন্দির কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের পরিমাণ ২১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকা করার কথাও ঘোষণা করেছে আওয়ামি লিগ সরকার।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের বঞ্চনা এবং অত্যাচারের দিকটি যখন বার বার আলোচনায় আসছে, তখন প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনের আগে হিন্দু সম্প্রদায়কে খুশি করবে বলে আশা শাসক দলের। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের এই জমি ফিরে পাওয়ার বিষয়টি ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি। এই জমি এক সময়ে মন্দিরের অধীনে থাকলেও কালক্রমে দখল হয়ে যায়। সম্প্রতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার সে জমি দখলমুক্ত করে মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে।
সূত্রের খবর, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি রাজনৈতিক চ্যানেল এবং আরএসএস-এর মাধ্যমে ভারত সরকারকে বার্তা দিয়ে রেখেছে, ক্ষমতায় এলে তারা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বড় মাপের সংখ্যালঘু প্রতিনিধি রাখবে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের মতো সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে আলাদা মন্ত্রক করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিএনপি, যা শেখ হাসিনা সরকার করেনি। আওয়ামি লিগের আমলে হিন্দু-বৌদ্ধদের উপর অত্যাচার বেড়েছে— এই প্রচারটিও বাংলাদেশ ও ভারতে সুকৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। হাসিনার এই সিদ্ধান্ত তাই এক ঢিলে অনেক পাখি মারার প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy