ছবি:রয়টার্স।
তাঁদের ফিরিয়ে দিয়েছিল ইতালি এবং মালটা। শেষ পর্যন্ত ঠাঁই দিল স্পেন। প্রায় সপ্তাহখানেক সমুদ্রে ভেসে থাকার পরে রবিবার, ৬৩০ জন শরণার্থীকে স্পেনের ভ্যালেনশিয়া বন্দরে নামাল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্ধারকারী জাহাজ ‘অ্যাকুয়ারিয়াস’-সহ মোট তিনটি ভেসেল।
আপাতত এই শরণার্থীদের এক মাসের জন্য দেশে থাকার অনুমতি দিলেও, তাঁদের পাকাপাকি ভাবে আশ্রয় দেওয়া হবে কি না তা আলাদা-আলাদা করে বিচার করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মতবিরোধের ফলে এই শরণার্থীদের ফিরিয়ে দিয়েছিল ইতালি এবং মালটা। যার ফলে গত সোমবার থেকে মাঝ-সমুদ্রে ভাসতে বাধ্য হয়েছিল শরণার্থীদের জাহাজগুলি। তবে কি শরণার্থীদের জন্য নিজেদের বন্দরগুলি আস্তে-আস্তে বন্ধ করে দিচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলি? এই ঘটনা উস্কে দিয়েছে সেই বিতর্ক। তার পর এগিয়ে আসে স্পেন। একান্ত ‘মানবিক কারণেই’ এই দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্পেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যানচেজ়। স্পেন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুদান, নাইজেরিয়া, আলজেরিয়া-সহ বেশির ভাগ শরণার্থীই আফ্রিকার নানা দেশের বাসিন্দা। তবে এঁদের মধ্যে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের বেশ কিছু নাগরিকও রয়েছেন।
‘অ্যাকুয়ারিয়াস’ ভ্যালেনশিয়া বন্দরের কাছাকাছি পৌঁছতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন শরণার্থীরা। ভ্যালেনশিয়া বন্দরে সরকারের পক্ষ থেকে শরণার্থীদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আধিকারিকেরা। জাহাজ থেকে নামার পর পুলিশ তাঁদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে। এ ছাড়াও শরণার্থীদের সাহায্য করতে স্বাস্থ্যকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক এবং অনুবাদক-সহ মোট ২,৩২০ জন উপস্থিত ছিলেন। জাহাজটিতে সাত জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ছিলেন। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাহাজে আসা ১২৩ জন অভিভাবকহীন নাবালক-সহ সমস্ত শরণার্থীকেই মানসিক কাউন্সেলিংয়ের জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy