আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে সাইবেরিয়ার উইন্টার চেরি শপিং মল। কাচের জানলা দিয়ে বেরিয়ে আসছে ধোঁয়া। ছবি: এএফপি।
ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল সাইবেরিয়ার একটি শপিং মল। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬৪ জনের। মৃতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই। আহতের সংখ্যা ৪৭। রবিবার বিকেলে সাইবেরিয়ার কেমেরোভো শহরের উইন্টার চেরি শপিং মলের ঘটনা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও সোমবারও উদ্ধারকার্য চলছে।
কী ঘটেছিল এখানে?
রবিবারের বিকেল। শপিং মলের দোতলা এবং তিনতলায় সিনেমা কমপ্লেক্স ও বাচ্চাদের খেলার জায়গায় তখন উপচে পড়ছে ভিড়। আর ঠিক তখনই দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে সিনেমা হলের একাংশ। প্রাণ বাঁচাতে যে যে-দিকে পেরেছেন প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ন সেখানে আসা লোকজন। আর সেই হুড়োহুড়িতে সিঁড়ি দিয়ে নামতেই পারেননি অনেকে। পদপিষ্ট হয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ। তত ক্ষণে শপিং মলের অন্যান্য অংশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, দাহ্য বস্তু থাকায় খুব দ্রুত সেই আগুন ভয়ানক রূপ নেয়।
শপিং মলের ভিতরের যে ভিডিও ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ সিঁড়িতে একদল মানুষ বাঁচার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রাণপণে ভাঙার চেষ্টা করছেন ‘ফায়ার এক্সিট’ জানলা। কিন্তু সেটা খোলা যায়নি। অনেকেই আবার কাচের দেওয়াল ভেঙে ঝাঁপ দিচ্ছেন তিনতলা থেকে। ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়েছে আটকে পড়া মানুষের আর্তনাদও।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণাঙ্গদের কথা কোথায়, মিছিলে প্রশ্ন কিশোরীর
সাইবেরিয়া পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও উদ্ধারকার্য চলছে। শপিং মলটি আগুনে এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে উদ্ধারকারীরা মলের ভিতরে ঢুকতে পারছেন না। ফলে ভিতরে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারকার্যে দেরি হচ্ছে। মলের প্রায় ১৬০০ বর্গমিটার অংশে এই আগুন লাগে।
এই ঘটনায় শপিং মলের মালিক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিফোনে যোগাযোগ করেছেন কেমেরোভোর গভর্নরের সঙ্গে। নিহতদের পরিবার পিছু ১৭ হাজার ৫০০ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন কেমেরোভোর গভর্নর আমান তুলেয়েভ।
২০১৩ সালে এই শপিং মলটি চালু হয়। সব মিলিয়ে ২৩ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে শপিং মল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy