নভজ্যোত সিংহ সিধু। ছবি- সংগৃহীত।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়াকে জড়িয়ে ধরার জন্য কোনও অনুশোচনা নেই নভজ্যোত সিংহ সিধুর। বরং ইসলামাবাদের নতুন জমানায় যদি কর্তারপুর করিডর খুলে দেওয়া হয়, তা হলে জেনারেল বাজওয়াকে শুধুই জড়িয়ে ধরা নয়, চুমুও খাবেন বলে জানালেন সিধু।
পাক সেনাপ্রধানকে সিধুর জড়িয়ে ধরা (হাগিং) নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিধুকে, কসৌলিতে খুশবন্ত সিংহ সাহিত্য উৎসবে।
সিধু বলেন, ‘‘আমার কাউকে জড়িয়ে ধরায় (‘জাফ্ফি’) কোনও বদ অভিসন্ধি ছিল না। আমার রাফালের মতলব নেই। আমি আপনাকেও জড়িয়ে ধরতে পারি। আমাকে যদি কেই বলেন, বাবা নানকের লাঙ্গা (করিডর) খুলে দেবেন, খুলে দেবেন কর্তারপুর লাঙ্গা, তা হলে তাঁকে আমি শুধু জড়িয়েই ধরব না, চুমুও খাব। আর এটা আমাকে এক বার নয়, বার বার বলেছেন ওঁরা।’’
সিধু এও বলেন, পাক সেনাপ্রদানকে জড়িয়ে ধরা নিয়ে যে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে, তার জন্য তার কোনও আফশোস নেই। সিধুর কথায়, ‘‘কেনই বা আফশোস করব? আমি নোংরা রাজনীতি বুঝি না। আমার কাছে এটাই (জড়িয়ে ধরা বা হাগিং) ভালবাসা প্রকাশের সবচেয়ে ভাল উপায়।’’
আরও পড়ুন- সরছেন আকবর? বিমানবন্দরে নামতেই পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে
আরও পড়ুন- ‘দক্ষিণ ভারত যাওয়ার থেকে পাকিস্তান যাওয়া ভাল’, ফের বিতর্কে সিধু
জড়িয়ে ধরা নিয়ে বিতর্ককে কার্যত, তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আরও একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সিধু। বলেছেন, ‘‘তামিলনাড়ুর চেয়ে বরং আমি পাকিস্তানের পঞ্জাবে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তামিলনাড়ুতে গেলে আমি ওখানকার ভাষা বুঝতে পারি না। দু’-একটার বেশি তামিল শব্দ আমি জানি না। ওখানকার খাবারদাবার আমার একেবারেই পছন্দ নয়, বলছি না। খাই মাঝেমধ্যে। কিন্তু একটানা অনেক দিন তা খেতে ভাল লাগে না। ওখানকার সংস্কৃতিটা একেবারেই অন্য রকম। কিন্তু পাকিস্তানের পঞ্জাবে গেলে আমার ভাষার কোনও সমস্যাই হয় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy