মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর থেকেই দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া শুরু করেছিল ওয়াশিংটন। বিভিন্ন মাধ্যমে এ কথা নয়াদিল্লিকে বোঝানোও হয়েছিল যে, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম সংঘর্ষের পরিস্থিতি একেবারেই অনুমোদন করছে না আমেরিকা। আজ হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এক সাংবাদিক বৈঠকে পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে ফের উদ্বেগ জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক খুবই খারাপ। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। আমরা চাই, এই অস্থিরতা থামুক। অনেক মানুষ মরেছে। এ বার এ সব বন্ধ হোক। শান্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমরা সব রকম ভাবে আছি।’’
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪৯ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যুর খবর পেয়ে আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘ভয়াবহ ঘটনা। আরও খোঁজ-খবর নিয়ে বিবৃতি দেব। তবে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকলে সব দিক থেকেই মঙ্গল।’’ ওই ঘটনায় ভারতের পাশে থাকার বার্তাও দেন মার্কিন প্রশাসন।
যদিও পুলওয়ামার পর থেকে ভারত বা পাকিস্তান দু’পক্ষই সুর কথা চড়িয়েছে। পাকিস্তানকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’-এর তকমা কেড়ে নেওয়ার এবং পাক-পণ্যের উপরে ২০০ শতাংশের বেশি শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। পাশাপাশি সৌদি যুবরাজের সঙ্গে যৌথ ঘোষণাপত্রে বদলার সুর নামিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলে সুর নরম করার ইঙ্গিতই দিয়েছে নয়াদিল্লি। এর পিছনে আমেরিকার বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মত কূটনীতিকদের একাংশের। আবার পাকিস্তানও গোড়ায় সুর চড়িয়ে পরে জঙ্গি নেতা হাফিজ সইদের সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তাতেও আমেরিকার হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্থায়ী বাসিন্দা নিয়ে বিরোধে উত্তপ্ত ইটানগর, জারি কার্ফু
ট্রাম্প এ দিন জানান, দু’দেশের সঙ্গেই তাঁরা কথা চালাচ্ছন। আমেরিকা যখন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে, সেই সময়ে এই ঘটনা তাদের কাছে উদ্বেগের। ট্রাম্প বলেন, ‘‘পুলওয়ামায় হামলার পরে দু’দেশের মধ্যে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ভারতও কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবছে। হামলায় ওরা পঞ্চাশ জনের মতো জওয়ানকে হারিয়েছে। আমি সেটাও বুঝতে পারছি। কথা বলছি। সাবধানে পরিস্থিতি সামলাতে হবে।’’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজই ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে পাক-নীতি নিয়ে ট্রাম্প এবং মোদী সরকারেরই সমালোচনা করা হয়েছে। ওই রিপোর্টের বক্তব্য, দু’দেশের কূটনীতি, নিষেধাজ্ঞা কোনওটাই ঠিক মতো কাজ করেনি। ফলে সন্ত্রাসবাদীদের সহায়তা করে যাওয়ার নীতিতে অবিচল থেকে গিয়েছে পাক সেনা তথা আইএসআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy