প্রতীকী ছবি।
প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক গোষ্ঠী সংঘর্ষ এবং জরুরি অবস্থা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পরে উদ্বিগ্ন সাউথ ব্লক। বিদেশ মন্ত্রক মনে করছে, বদলে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধধর্মের চরিত্র। ‘বদু বালা সেনা’র মতো বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে ক্রমশ সেখানে জন্ম নিচ্ছে এক ধরনের কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ মনন। অন্য দিকে, শ্রীলঙ্কার জনসংখ্যার ১০ শতাংশ, শান্তিপ্রিয় মুসলিম সম্প্রদায়কে উস্কানি দিচ্ছে দেশের বাইরের বিভিন্ন উগ্র মৌলবাদী মুসলিম সংগঠন। যার ফলে ভবিষ্যতে সে দেশে দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখছে দিল্লি।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের উপরে হামলার আঁচ এখনই ভারতে পৌঁছচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্রে দীর্ঘমেয়াদি অশান্তি চললে তা অবশ্যই জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগজনক। তা ছাড়া, শ্রীলঙ্কার যে ক্যান্ডি শহরে সব চেয়ে বেশি সংঘর্ষ চলছে, সেখানে কর্মসূত্রে বহু ভারতীয়ের বসবাস। সেটি ভারতীয়দের প্রিয় পর্যটনকেন্দ্রও বটে। আপাতত শ্রীলঙ্কার ভারতীয় দূতাবাসকে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় চিনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য ভারতকে এমনিতেই চিন্তায় রেখেছে। বন্দর থেকে বাণিজ্য, সামরিক প্রস্তুতি থেকে পরিকাঠামো— বেজিংই এখন শেষ কথা কলম্বো প্রশাসনের কাছে। সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে শক্তি জোগানো এবং তাঁদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য চিন কতটা সক্রিয়, তা নিয়েও খোঁজ নিচ্ছে ভারত। তামিল টাইগাররা যুদ্ধে পরাস্ত হওয়ার পরে সিঙ্ঘলি জাত্যভিমান উস্কে দিতে সচেষ্ট ছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে। বিজয়োল্লাসের আবহেই তৈরি হয় সিঙ্ঘলি উগ্র জাতীয়তাবাদ। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, সিংহলিদের সেই উগ্রতা রুখতে পশ্চিম এশিয়া থেকে অর্থ এবং কিছু কট্টরবাদী মুসলিম সংগঠনের আদর্শ পাচার হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রের সংখ্যালঘুদের কাছে। আপাতত তাই নিজেরা নাক না গলিয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয়, তা পর্যালোচনা করতে
চাইছে নয়াদিল্লি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy