ইতালি ও মাল্টা ঢোকার অনুমতি দেয়নি। ফলে ৬২৯ জনকে নিয়ে সোমবার দিনভর ভূমধ্যসাগরেই আটকে ছিল শরণার্থী জাহাজ অ্যাকোয়েরিয়াস। জাহাজটিতে ছিল ১২৩ জন নাবালক ও সাত অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। যদিও দিনের শেষে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ় জানালেন, অ্যাকোয়েরিয়াসের ৬২৯ জন শরণার্থীকে আশ্রয় দেবেন তাঁরা। স্পেনের ভালেন্সিয়া বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে জাহাজটিকে।
শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত ছ’টি অভিযানে ৬২৯ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালিত জাহাজটি। কিন্তু কোন দেশ অ্যাকোয়েরিয়াসকে ঢুকতে দেবে তা নিয়ে শুরু হয় চাপানউতোর। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও সলভিনি রবিবার সাফ বলেন, ‘‘জীবন বাঁচানো কর্তব্য। কিন্তু তা বলে ইতালিকে একটা বিরাট শরণার্থী শিবিরে পরিণত করা যায় না।’’ শরণার্থীদের জন্য বন্দর বন্ধের নির্দেশ দেন। রবিবার থেকে মালটা ও ইতালির সিসিলি দ্বীপের মাঝে ভূমধ্যসাগরেই আটকে থাকে অ্যাকোয়েরিয়াস। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি জানিয়েছে, জাহাজে ৫৫০ জন থাকার ব্যবস্থা থাকলেও ছিলেন ৬২৯ জন। বেশ কয়েক গুরুতর অসুস্থ। জাহাজে ওঠার আগে অনেকেই গোটা দিন জলে ছিলেন। রাসায়নিকে পুড়েছে অন্তত ১৫ জনের দেহ। শিশুদের সঙ্গে নেই বাবা-মা। তাঁদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে টানাপড়েনে সোমবার হস্তক্ষেপ করে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তার পরেই এগিয়ে আসে স্পেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy