Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
H-1B Visa

এইচওয়ানবি ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি, ফের সরব গুগল, মাইক্রোসফট

এইচ-ওয়ানবি ভিসার মাধ্যমে বিদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগ করে মার্কিন সংস্থাগুলি। ভারত ও চিনের মতো দেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়।

এইচওয়ানবি ভিসা দিতে ঝামেলা করছে মার্কিন সরকার।

এইচওয়ানবি ভিসা দিতে ঝামেলা করছে মার্কিন সরকার।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৮ ১৫:৫২
Share: Save:

নিয়মের তোয়াক্কা করছে না মার্কিন সরকার। এইচ-ওয়ানবি ভিসা নিয়ে অযথা কড়াকড়ি করছে তারা। আবেদন আটকে রাখছে দীর্ঘদিন। যাতে বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ না করা যায়। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট-সহ একাধিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার।

প্রতি বছর বিদেশ থেকে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ করে মার্কিন সংস্থাগুলি।ওই সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি হয়েছে 'কমপিট আমেরিকা' সংগঠন। তাদের দাবি, আইন বহির্ভূত কাজ করছে মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন দফতর(ইউএসসিআইএস)। ওই সংস্থার বক্তব্য, এইচ-ওয়ানবি ভিসা কোনও শরণার্থী ভিসা নয়। এই ভিসার মাধ্যমে বিদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগ করে মার্কিন সংস্থাগুলি। ভারত ও চিনের মতো দেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়। কিন্তু বর্তমান সরকার এ নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি করছে। নানা অজুহাত দেখিয়ে ভিসার আবেদন নাকচ করা হচ্ছে। তাতে হয়রান হচ্ছেন বহু কর্মী। আবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিভিন্ন সংস্থাও।

সংগঠনের তরফে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সচিব কার্স্টজেন নিয়েলসেন এবং ইউএসসিআইএস-এর ডিরেক্টর ফ্রান্সিস সিসনাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এইচ-ওয়ানবি ভিসা মঞ্জুর নিয়ে সম্প্রতি তিনটি বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যা ১৯৯১ সালের এইচ-ওয়ানবি ভিসা নীতির পরিপন্থী। বিশেষ কোনও পদে অভিজ্ঞ লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁকে উপযুক্ত বেতন দেওয়াই নিয়ম। কিন্তু ওইরকম কোনও পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতন এন্ট্রি লেভেলের বেশি হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করে ভিসার আবেদন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: নিলামে উঠল হকিংয়ের হুইল চেয়ার, কত টাকায় বিকোল জানেন?​

আরও পড়ুন: জয় দেখতে পেলেন না কুখ্যাত যৌনপল্লি মালিক ডেনিস​

প্রথমদিকে কেউ হয়ত কলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরে বিজ্ঞান বা কারিগরি শিক্ষার দিকে গিয়েছেন। ভিসার আবেদন নাকচ করতে সেটিকেও হাতিয়ার করছে ইউএসসিআইএস। বলা হচ্ছে, যে পদের জন্য লোক নেওয়া হচ্ছে, তার জন্য যে পড়াশোনার দরকার, তা নেই ওই ব্যক্তির।

আবার এমন কিছু পদ রয়েছে, যেখানে উচ্চশিক্ষার তেমন প্রয়োজন নেই বলে অভিবাসন দফতর মনে করে। সংস্থার যদি বাস্তব প্রয়োজনে উচ্চশিক্ষিত কর্মী নেওয়া হয়, তবে তাতেও বাগড়া দিচ্ছে অভিবাসন দফতর। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পড়াশোনা জানেন বলে অনেকের ভিসার আবেদন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।

কমপিট আমেরিকার প্রশ্ন, বিদেশি কর্মী নিয়োগ নিয়ে ১৯৯১ সালে যে নিয়ম চালু হয়েছিল তাতে কিন্তু এমন কিছুর উল্লেখ ছিল না। বর্তমান সরকার যদি তাতে কোনও বদল এনে থাকে, তা স্পষ্ট করে ঘোষণা করা হচ্ছে না কেন? এতে নিয়োগকারী সংস্থারও সুবিধা হয় আবার খামোখা নাজেহাল হতে হয় না বিদেশি কর্মীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE