Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মুসলিম নিষেধাজ্ঞায় সায় সুপ্রিম কোর্টের

সিরিয়া, ইরান, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও চাদের মতো ছ’টি মুসলিম প্রধান দেশ থেকে আর কাউকেই আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাল তাতেই সায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:২৭
Share: Save:

অবশেষে ছাড়পত্র মিলল নিষেধাজ্ঞায়। সিরিয়া, ইরান, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও চাদের মতো ছ’টি মুসলিম প্রধান দেশ থেকে আর কাউকেই আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাল তাতেই সায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অবশ্য কেন এমন সিদ্ধান্ত, তার কারণ বলা হয়নি। শুধু এ নিয়ে নিম্ন আদালতে যে সব মামলা চলছে, তার তড়িঘড়ি নিষ্পত্তি চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে শীর্ষ আদালতে ৯ জনের মধ্যে ৭ জন বিচারপতিই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। তবে রায়ে একটা শর্তও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বৈধতা আদায় করাটা জরুরি। ট্রাম্পের সংশোধিত এবং তৃতীয় দফার এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনও মামলা চলছে একাধিক নিম্ন আদালতে। চলতি সপ্তাহে শুনানি রয়েছে। এ দিকে, মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্তেও প্রায় রোজই অল্প-বিস্তর ধাক্কা খাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট। তাই সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ট্রাম্প শিবির। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিয়েছে, শীর্ষ আদালতের এই রায়ে তারা বিস্মিত নয়। এমনই হওয়ার কথা ছিল। তাদের দাবি, প্রেসি়ডেন্টের এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই।

বিরোধীরা যদিও ট্রাম্পের মুসলিম-বিদ্বেষ নিয়ে গোড়া থেকেই সুর চড়িয়ে এসেছে। অনেকেই বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় দুঃখজনক। বাকি বিশ্বের কাছে এতে আমেরিকার ভাবমূর্তি আরও খারাপ হবে। তবে কূটনীতিকদের দাবি, কালই এ নিয়ে ফের আইনি বাধা আসতে পারে। নতুন করে বেঁকে বসতে পারে একাধিক ফেডেরাল কোর্ট।

হোয়াইট হাইসে আসার পর-পরই ট্রাম্প প্রথম যে নিষেজ্ঞায় সই করেছিলেন, তাতে ইরাক-সহ সাতটি দেশের নাম ছিল। সবগুলিই মুসলিম-প্রধান। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল দুনিয়া জুড়ে। আদালতেও মুখ থুবড়ে পড়েছিল ওই নির্দেশ। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে ট্রাম্প পরে বাধ্য হন ইরাককে ওই তালিকা থেকে বাদ দিতে। দ্বিতীয় দফার এই নিষেধাজ্ঞাও বানচাল হয়ে গেলে, গত সেপ্টেম্বরে ‘আইন মেনে’ নতুন তালিকা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একাধিক নিম্ন আদালতে সেটিও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। বলা হয়, ওই ছ’টি দেশের যে সব নাগরিকের আত্মীয় আমেরিকায় আছেন, তাঁদের ঢুকতে দিতেই হবে। কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হয়তো এ বার সেটিও বন্ধ হতে পারে।

আমেরিকায় ‘ঢোকা নিষেধ’-এর তালিকায় সম্প্রতি ট্রাম্প উত্তর কোরিয়া এবং ভেনেজুয়েলার কিছু সরকারি কর্মকর্তার নাম জোড়েন। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও নিম্ন আদালত স্থগিতাদেশ দেয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে ট্রাম্প প্রশাসন এখন বলছে, উত্তর কোরিয়ার কাউকেই তারা আর ভিসা দেবে না। বাকিদের ক্ষেত্রেও তাই। তবে সোমালিয়া আর ইরানের ক্ষেত্রে এখনও কিছুটা ছাড় রাখতে চাইছে হোয়াইট হাউস। যেমন, ইরানি ছাত্ররা চাইলে আমেরিকায় আসতেই পারেন। আসতে পারেন ভিসাধারী সোমালীয়রাও। সে ক্ষেত্রে আরও সূক্ষ্ম যাচাইয়ের বন্দোবস্ত করছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE