Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

কাঁদলেই পুরস্কার?

‘রামগরুড়়ের ছানা হাসতে তাদের মানা’—সুকুমার রায়ের ছন্দেরই এ যেন এক উলটপূরাণ। তফাত একটাই। তারা রামগরুড়়ের ছানা নয়। আদতে মানব সন্তান। কিন্তু কিছুটা সময়ের জন্য তাদের ‘হাসতে মানা’। ঘটনাটা কী?

পুরস্কার পেতে গেলে ফেলতে হবে চোখের জল। ছবি: এএফপি।

পুরস্কার পেতে গেলে ফেলতে হবে চোখের জল। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৫ ১৩:০৩
Share: Save:

‘রামগরুড়়ের ছানা হাসতে তাদের মানা’—সুকুমার রায়ের ছন্দেরই এ যেন এক উলটপূরাণ। তফাত একটাই। তারা রামগরুড়়ের ছানা নয়। আদতে মানব সন্তান। কিন্তু কিছুটা সময়ের জন্য তাদের ‘হাসতে মানা’।

ঘটনাটা কী?

জাপানের ঐতিহ্যবাহী ‘অ্যানুয়াল ক্রাইং কনটেস্ট’-এর মঞ্চে হাজির প্রায় শ’খানেক জাপানি শিশু। হাজির ১২০ জন সুমো পালোয়ানও। শিশুদের পাশাপাশি প্রতিযোগী এই সুমোরাও। একটি গোল বড় রিং-এর মধ্যে খেলার আয়োজন করা হয়েছে। দু’জন প্রতিযোগী দু’টি শিশুকে নিয়ে রিং-এর মধ্যে এসে তাদের কাঁদাবেন। এটাই খেলা। এটাই ঐতিহ্য। এটাই প্রতিযোগিতা।

যে সুমো শিশুকে যত তাড়াতাড়ি এবং যত জোরে কাঁদাতে পারবেন পুরস্কারের বিচারে তিনিই এগিয়ে যাবেন। শিশুদের কাঁদাবার জন্য কখনও রঙিন, কখনও বা ভয়ঙ্কর মুখোশও ব্যবহার করেন তাঁরা। জাপানিরা মনে করেন, শিশুর শরীরের জন্য এই কান্না উপকারি। জাপানের ৪০০ বছরের প্রাচীন এই খেলার আয়োজন হয় দেশ জুড়ে। সম্প্রতি টোকিওর আসাকুসা জেলায় সেনসোজি মন্দিরে এর আসর বসেছিল। যেখানে পুরস্কার পেতে গেলে ফেলতে হবে চোখের জল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE