ভাল খবরে হতাশা কাটে, মানসিক স্বাস্থ্য ফেরায়। ছবি: শাটারস্টক।
খুন, ধর্ষণ, দুর্ঘটনা, রাজনৈতিক দলাদলি বা হিংসার ঘটনা দিয়েই আজকাল শুরু হয় দিন। খবরের কাগজ হোক বা ওয়েব মিডিয়া, বেতার হোক বা টেলিভিশন— এ সব খবর ও ছবিতে ঢেকে যায় আমার-আপনার সকালের ড্রয়িং রুম। তার পর দিনভর চলতে থাকে সে সব খবরের চুলচেরা বিশ্লেষণ, নয়তো তা নিয়ে ব্যাখ্যা ও চর্চা। এ বার সে অভ্যাস বদলে দিতে নতুন পরিকল্পনা ‘গুগল’-এর।
সকাল সকাল গুগল হোম অ্যাসিস্ট্যান্ট ও গুগল হোম মিনি-তে এক নয়া পরিষেবা শুরু করেছে গুগল। দুনিয়ার এই বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন এ বার শুধুই ‘সুখবর’ শোনাবে গ্রাহককে। গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট অন করে বলতে হবে “Hey Google, tell me something good.’’
ব্যস এই টুকুই।
এর পর দেশ-দুনিয়ার বাছাই মন ভাল করা খবর আপনার সামনে এসে হাজির করবে গুগলের নেটওয়ার্ক সাংবাদিকরা। এর জন্য একটি বিশেষ খবরের সংস্থাও তৈরি করেছে গুগল। এই সংস্থাটির কাজই হবে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে ভাল ভাল খবরগুলি বাছাই করা। সেই বাছাই করা খবরগুলিই দেখানো হবে আপনাকে।
আরও পড়ুন: দু’হাতের ভেল্কি! নেবেন নাকি চ্যালেঞ্জ? ভিডিয়ো ভাইরাল
বোমা ‘মেরে’ স্বস্তি জার্মানিতে
‘এসো সুসংবাদ এসো’। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
আপাতত এই পরিষেবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই পরিষেবা শুরু হলেও ধীরে ধীরে এটি গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে গুগল। কোনও কোনও সংস্থার মোবাইলেও এই পরিষেবা চালু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে গুগল। সম্প্রতি নিজেদের ব্লগে এই প্রয়াসের কথা জানিয়েছে তারা, গুগল-এর মতে, এর ফলে মানুষকে কিছু ভাল খবর যেমন জানানো যাবে, তেমন খারাপ খবর পেতে পেতে তাদের ক্লান্তি ও হতাশাকেও কাটাতে সাহায্য করবে বাছাই করা সুসংবাদগুলি।
গবেষক ও মনোবিদরা বরাবরই দাবি করে এসেছিলেন, এই ধরনের খবরের মধ্যে বাস করতে করতেই মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। মনে মনে অস্থির ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। ছড়াচ্ছে হিংসার বীজও। এই প্রসঙ্গে মনোবিদ অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘খবরই মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নির্মাণ করে। কিন্তু সম্প্রতি নানা খবরের ভিড়ে ও খারাপ খবরের প্রচার-আধিক্যে এ সব খবরের বাইরে ভাল খবর খুব কমই পৌঁছয় আমাদের কাছে। এমন যদি পরিষেবা গুগল দিতে পারে, তা হলে এর চেয়ে ভাল আর কিছুই হতে পারে না। ভাল খবর সব সময়ই মানুষের মনস্তত্ত্বে ছাপ ফেলে। মনকে ফুরফুরে করে। অনেক সময় অনেক রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রেও আমরা ভাল ভাল খবর, তাঁর জীবনের সাফল্যের অধ্যায় এ সব তুলে ধরি, এতে জীবনের প্রতি একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়।’’
(সারা বিশ্বের সেরা সব খবর বাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy