ইজরায়েলি বিমানহানার ধ্বংস হামাসের ঘাঁটি। ছবি: এপি।
সীমান্তে সংঘর্ষের আঁচ কিছুটা কমলেও মঙ্গলবার উত্তেজনা ছিল যথেষ্ট। গত কাল গাজ়া ভূখণ্ড থেকে ইজ়রায়েলের দিকে ধেয়ে এসেছিল রকেট।
পাল্টা জবাব দিয়েছিল ইজ়রায়েলও। গাজ়া সীমান্ত বরাবর আজও মোতায়েন করে রাখা ইজ়রায়েলি সেনার ভিড়ই বলে দিচ্ছিল, ভিতরে ভিতরে উত্তাপ কতটা।
সোমবার রাতেও রকেট হামলার সতর্কতামূলক সাইরেনের শব্দ শোনা গিয়েছে ইজ়রায়েলের শহরগুলোতে। তবে পরে প্যালেস্তাইনি অফিসাররা জানিয়েছেন, মিশরের মধ্যস্থতায় আপাতত সংঘর্ষ থেমেছে। ইজ়রায়েলে সীমান্ত-ঘেঁষা সব স্কুল আজ বন্ধ ছিল। হামলা থেকে বাঁচতে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদেরও বলা হয়েছিল
নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে। গাজ়ায় কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও স্কুল খোলা ছিল। তবে উপস্থিতির হার ছিল খুবই কম।
কাল তেল আভিভের কাছে গাজ়া ভূখণ্ড থেকে আসা রকেট হামলায় জখম হন সাত জন ইজ়রায়েলি। তাই থেকেই সোমবার সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। গাজ়ার হামাস গোষ্ঠীর উপরে দায় চাপিয়ে ওই হামলার পাল্টা জবাব দেয় ইজ়রায়েল। তাতে জখম হন পাঁচ জন প্যালেস্তাইনি। সীমান্তে মোতায়েন হয় আরও সেনা এবং সামরিক ট্যাঙ্ক। সোমবার রাত পর্যন্ত গাজ়ার থেকে রকেট উড়ে এসেছে ইজ়রায়েলে। যার অনেকগুলিই গুলি করে নামান ইজ়রায়েলি অফিসারেরা।
গতকাল হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ের দফতর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা। যদিও ইসমাইলকে সেখান থেকে আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি। এই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে জেরবার সাধারণ নাগরিকরা। প্যালেস্তাইনে বছর ৪০-এর মহম্মদ সইদ বলছেন, ‘‘আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু ইজ়রায়েল যদি এটা চালিয়ে যেতে চায়, আমাদের কী করার আছে? আমাদের তরফ থেকেও পাল্টা জবাব যাবে।’’ তবে মহম্মদের আশা, মিশরের মধ্যস্থতায় কোনও চুক্তি হলে এই সঙ্কট হয়তো বা শেষ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy