লুইগি দি মাইয়ো। ছবি: রয়টার্স।
পার্লামেন্ট ত্রিশঙ্কু হতে চললেও দক্ষিণের হাওয়াই জোরদার ইতালিতে। মূল স্রোতের দল ছেড়ে ভোটাররা ঝুঁকেছেন প্রতিষ্ঠান-বিরোধী দলের দিকে। রবিবারের ভোটের পরে ইতালিতে সরকার গঠন এখন খানিকটা সময়ের অপেক্ষা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষমতাবৃদ্ধির বিপক্ষে থাকা প্রতিষ্ঠান-বিরোধী দল ‘ফাইভ স্টার মুভমেন্ট’ এক তৃতীয়াংশ ভোট পেয়েছে। একক দল হিসেবে তাদের ঝুলিতে সব চেয়ে বেশি ভোট।
তবে পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে অতি-দক্ষিণ অভিবাসন-বিরোধী দল ‘লিগ’ এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুস্কোনির দলের জোট সব চেয়ে বেশি আসন পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যা দেখে শুনে ভোট প্রচারের সময় বিরোধী অবস্থান থাকলেও ফাইভ স্টার এখন জানিয়েছে, তারা যে কোনও দলের সঙ্গে জোটে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু ইতালির ভোটের ফল ইঙ্গিত দিচ্ছে অন্য আশঙ্কার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে দুঃস্বপ্নই বয়ে আনতে চলেছে এই জোট।
পূর্বতন শাসক দল (পিডি) মধ্য-বামপন্থীরা জমি হারিয়েছে মাত্র ১৮.৯% ভোট পেয়ে। সব মিলিয়ে আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসা বা ব্রেক্সিটের সঙ্গেই তুলনা করা হচ্ছে ইতালির পরিস্থিতিকে। ২০০৯ সালে তৈরি হওয়া ফাইভ স্টারের নেতৃত্বে রয়েছেন লুইগি দি মাইয়ো। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি, আর্থিক দুর্দশা ও অভিবাসন-বিরোধী প্রচার চালিয়ে দক্ষিণ ইতালির দরিদ্র জনতার নয়া ভোটারদের জনপ্রিয় হয় ফাইভ স্টার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাসক দল গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে এই সব বিষয়গুলিতেই।
২০১৩ থেকে লিবিয়া থেকে অন্তত ছ’লক্ষ অভিবাসী ঢুকেছেন ইতালিতে। যা নিয়ে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। ফাইভ স্টার জানিয়ে রেখেছে, জোর দিতে হবে ইতালিতে তৈরি (‘মেড ইন ইটালি’) পণ্যের উপরে। যেমনটা প্রচারের সময় শুনিয়েছিলেন ফরাসি অতি-দক্ষিণ দলের নেত্রী মারিন ল্য পেন। ফ্রান্সে অতি-দক্ষিণ হাওয়া ঠেকানো গেলেও জার্মানিতে বিরোধী আসন পেয়ে পার্লামেন্টে ঢুকেছে অতি দক্ষিণ দল। অস্ট্রিয়াতেও একই ভাবে চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জকে অতি দক্ষিণ দলের সঙ্গে জোট বেঁধেই সরকারে আসতে হয়েছে। ইতালিও এ বার সে পথে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy