মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব প্যাট্রিক শানাহান।—ছবি এপি।
চিনকে টক্কর দেওয়াই আমেরিকার সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে দাবি করলেন নয়া মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব প্যাট্রিক শানাহান। দায়িত্ব নেওয়ার পরে, গত কাল পেন্টাগনে দাঁড়িয়ে তাঁর বার্তা, ‘‘দেশের নিরাপত্তার জন্য প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যে তৎপরতা চলছে, তা চলবে। সবার আগে আমেরিকার নজরে থাকবে চিন, চিন এবং চিন।’’
সিরিয়া থেকে সেনা সরানো নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত মাসে পদ ছেড়েছেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস। তার পরে বছরের শুরুতেই সেই দায়িত্ব নেন শানাহান। নয়া এই প্রতিরক্ষা কর্তা টুইটারে লিখেছেন, ‘‘২০১৯ সালে জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল হবে আমাদের পথপদর্শক। এবং আমেরিকার সামরিক শক্তিবৃদ্ধি হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।’’ কূটনীতিকেরা বলছেন, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে চিনের ‘দাদাগিরি’ নিয়ে এখন যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন। বিশেষত, চিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্পের অন্যতম অংশ চিন-পাক বাণিজ্যিক করিডর তৈরির বিষয়টি মোটে ভাল চোখে দেখছে না আমেরিকা। তাই চিনের থেকে নজর সরিয়ে বিপদ ডেকে আনতে রাজি নন শানাহান। হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, গত কাল রাতের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষাসচিব।
শানাহান নিজে সামরিক বাহিনীতে না থাকলেও ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি সহকারী প্রতিরক্ষাসচিব ছিলেন। তারও আগে ৩০ বছর ছিলেন উড়ান সংস্থা বোয়িংয়ে।
এ দিকে গত কালই সাংবদিকদের সামনে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ম্যাটিস নিজে পদত্যাগ করেননি। তিনিই চাননি ম্যাটিস আর থাকুন। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘উনি আমার জন্য কী করেছেন?’’ তাঁর দাবি, ম্যাটিসের নেতৃত্বে মার্কিন সামরিক নীতি সঠিক ভাবে নির্ধারিত হয়নি। তিনি বলেছেন, ‘‘আফগানিস্তান নিয়ে ওঁর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নই। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও ওঁকে বরখাস্ত করেছিলেন। আমিও করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy