Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ইমপিচমেন্ট: সহযোগিতা করবে না হোয়াইট হাউস

হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের স্পিকার তথা ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি পেলোসির কাছে একটি আট পাতার চিঠি পাঠিয়েছেন হোয়াইট হাউসের কৌঁসুলি প্যাট সিপোলোনি।

ছবি: এএফপি।

ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:৪২
Share: Save:

ইমপিচমেন্ট তদন্তকে ঘিরে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে আমেরিকায়। এ বার কার্যত সম্মুখ সমরে মার্কিন প্রশাসন ও ডেমোক্র্যাট নেতারা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ইমপিচমেন্ট তদন্ত প্রক্রিয়ায় তারা কোনও রকমের সহযোগিতা করবে না বলে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের স্পিকার তথা ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি পেলোসির কাছে একটি আট পাতার চিঠি পাঠিয়েছেন হোয়াইট হাউসের কৌঁসুলি প্যাট সিপোলোনি। যেখানে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অসাংবিধানিক। ফলে হাউসের কোনও তদন্তে সহযোগিতা করতে মার্কিন প্রশাসন বাধ্য নয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে আমেরিকার মানুষ ভোট দিয়ে যে প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন, তাঁর কাজে বাধা দিতেই ডেমোক্র্যাটরা

এই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির

জেলেনস্কিকে করা টেলিফোন থেকে

বিতর্কের শুরু। ওই ফোনালাপে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের অন্যতম প্রার্থী জো বাইডেন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু জন্য জেলেনস্কিকে চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। জো-পুত্র হান্টার এক সময়ে ইউক্রেনের এক জ্বালানি সংস্থার মাথায় ছিলেন। কথোপকথনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করেন, বিদেশি শক্তির সাহায্য নিয়ে ভোটে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছেন ট্রাম্প যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে এই ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। মার্কিন কংগ্রেসের তিন সদস্যের একটি কমিটি গোটা ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে। একের পর এক টুইট করে সেই কমিটিকে অবৈধ বলেছেন ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাট নেতা-নেত্রীদেরও ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করেছেন।

দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকার দূতের ওই কমিটির সদস্যদের প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। মার্কিন প্রশাসন সেই রুদ্ধদ্বার শুনানি প্রক্রিয়াতেও বাধা দিয়ে তাঁকে আটকে দেয়। এই কমিটির মুখোমুখি হতেই ব্রাসেলস থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন গর্ডন সন্ডল্যান্ড নামে ওই দূত।

ন্যান্সির দাবি, প্রেসিডেন্ট বলে আইনের ঊর্ধ্বে নন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি তাঁকে হতেই হবে। মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন ন্যান্সিরা। আদালতের নির্দেশ থাকলে তদন্তে সহযোগিতা করতে বাধ্য হবে মার্কিন প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

White House US Donald Trump
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE