শেষ-ছবি: ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বম্বার্ডিয়ার ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ বিমানে ওঠার আগে ঢাকা বিমানবন্দরে এক আত্মীয়া ও বাবা-মায়ের সঙ্গে তিন বছরের প্রিয়ন্ময়ী। ছবি: ফেসবুক থেকে
তিন বছরের প্রিয়ন্ময়ীর সাধ হয়েছিল আকাশে ওড়ার। মেয়ের ইচ্ছাপূরণে বাবা এফ এইচ প্রিয়ক ঠিক করেছিলেন, আকাশপথেই নেপাল যাবেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে আজই ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ২১১ উড়ানে কাঠমান্ডু পাড়ি দিয়েছিল প্রিয়ন্ময়ী। কিন্তু আকাশ ছুঁয়েও নেপাল দেখা হল না তার। কাঠমান্ডুতে এখন রাখা আছে বাবা-মেয়ের দেহ। প্রিয়ন্ময়ীর মা অ্যানি প্রিয়ক গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান উড়েছিল এ দিন দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে। রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে বাবা-মায়ের সঙ্গে মহানন্দে বেশ কয়েকটা ছবি তুলেছিল প্রিয়ন্ময়ী। সেই সব ছবি এখন বেদনার স্মৃতি। প্রিয়কের ভাগ্নে সালাহউদ্দিন জানান, ওই পরিবারের সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন। তাঁরা বেঁচে গিয়েছেন। প্রিয়ন্ময়ী ছাড়া ওই বিমানে আরও একটি শিশু ছিল। উদ্ধার হয়েছে তার দেহও। সালাহউদ্দিনের কথায়, ‘‘প্রিয়ন্ময়ী খুব চটপটে ছিল। খুব বেশি কথা বলত। গত কালও খুব খুশি ছিল। আমাকে বলেছিল, ভাইয়া আমি আকাশে উড়ব।’’
বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ অফিসার উম্মে সালমার বাড়ি ঢাকার দক্ষিণখান এলাকায়। অফিসের কাজেই তিন দিনের জন্য কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঢাকার বারিধারায় বিমান সংস্থার অফিসে ছুটে আসেন তাঁর দাদা আবুল কালাম আজাদ। সালমার সঙ্গী ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের আর এক অফিসার নাজিয়া আফরিন চৌধুরী। তাঁর ভাগ্যও অজানা। সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদ (২৯)-ও ছিলেন।
আরও পড়ুন: জানলার কাচ ভেঙে বেঁচে ফিরলেন বসন্ত
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সিঙ্গাপুর সফর কাটছাঁট করে ঢাকা ফিরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁর। ওলি এ দিন ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে গিয়েছেন। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy