ডোনাল্ড ট্রাম্প।ফাইল চিত্র।
এইচ ১-বি ভিসার পরে এ বার ইবি-৫ বা বিনিয়োগ ভিসা নীতিতে বদল চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইবি-৫ ‘ইমিগ্র্যান্ট ইনভেস্টর ভিসা প্রোগ্রাম’ অনুযায়ী, বিদেশি লগ্নিকারীরা মার্কিন মুলুকের কোনও অনুন্নত এলাকায় ব্যবসা ক্ষেত্রে দশ লক্ষ ডলার লগ্নি করলে তার বিনিময়ে আমেরিকায় বৈধ ভাবে বসবাসের সুযোগ বা গ্রিন কার্ড পেতে পারেন। এই বিনিয়োগের ফলে অন্তত দশ জন নাগরিকের কর্মসংস্থান হওয়ার শর্তও পূরণ করতে হয়। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ইবি-৫ ভিসার হাত ধরে আমেরিকায় ঢুকেছেন এমন অনেক বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধেই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে গত কয়েক বছরে। ফলে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে এই ভিসা নীতি বদল বা বাতিলের দাবি তুলেছেন তিনি।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সংক্রান্ত বিভাগের এক শীর্ষ কর্তা এল ফ্রান্সিস সিসনা জানিয়েছেন, ইবি-৫ ভিসা নিয়ে বিদেশি নাগরিকেরা কালো টাকা সাদা করছেন। আবার অনেক সময় গুপ্তচরবৃত্তির অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েও আমেরিকায় ঢুকছেন অনেকে। এই ভিসা প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। সিসনার কথায়, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ও জালিয়াতি রুখতে এই ভিসা নীতির বদল প্রয়োজন।’’
বিনিয়োগ ভিসার কোটায় প্রতি বছর ১০ হাজার গ্রিনকার্ড দেয় আমেরিকা। প্রতি দেশের জন্য বরাদ্দ সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ। চিন ও ভিয়েতনামের পরে এই ভিসার আবেদনকারীদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, গত বছর ইবি-৫ ভিসার জন্য ভারত থেকে পাঁচশোর বেশি আবেদন জমা পড়ে। এ বার সেই সংখ্যা বেড়ে ৭০০ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চণ্ডীগড়, দিল্লি, মুম্বই, তামিলনাড়ু ও কর্নাটক থেকে এই বিনিয়োগ ভিসার জন্য আবেদন জমা পড়ে সবচেয়ে বেশি। বিনিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত অর্থের উৎস নিয়ে স্বচ্ছতা না থাকলে বাতিল করা হয় ভিসার আবেদন। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটের বিচার বিভাগ সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান চাক গ্রাসলে জানিয়েছেন, বিনিয়োগ ভিসা নিয়ে আমেরিকায় ঢুকে সবচেয়ে বেশি প্রতারণার অভিযোগে জড়িয়েছেন চিনের নাগরিকরা। ইবি-৫ ভিসা দুর্নীতিতে ধরা পড়েন চিনের এক অত্যন্ত প্রভাবশালী সরকারি
আমলার প্রাক্তন স্ত্রী। ভুয়ো তথ্য জমা দিয়ে ভিসা পেয়ে জালিয়াতির টাকা নিয়ে আমেরিকায় পালিয়ে এসেছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy