ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র.
আমেরিকার ভোটে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত চলছেই। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের দাবি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও গোপনে মস্কোর স্বার্থে কাজ করেছেন। এফবিআইয়ের ডিরেক্টর জেমস কোমিকে ছেঁটে ফেলার পরে এ নিয়ে প্রেসিডেন্টের ‘ব্যস্ততা’ আরও বেড়ে যায় দাবি করে, নয়া তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থা। শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা রুশ-ঘনিষ্ঠতার যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে ফের এফবিআই-কেই একহাত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর কথায়, ‘‘যথাযথ প্রমাণ এবং কোনও কারণ ছাড়াই এমন ভিত্তিহীন তদন্তের কথা বলা হচ্ছে।’’
কোমিকে ছেঁটে ফেলা নিয়েও এ দিন টুইটারে সরব হতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। তিনি লেখেন, ‘‘কোমির আমলে টালমাটাল অবস্থা চলছিল সংস্থায়। বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলারের হাত মাথায় ছিল বলেই কোমি ডেমোক্র্যাট নেত্রী হিলারি ক্লিন্টনের ই-মেল তদন্তের ওই জঘন্য হাল করে ছেড়েছিল। সেই কারণেই ওঁকে সরাতে হয়েছিল।’’ এফবিআই এখন তারই বদলা নিচ্ছে কি না, সে প্রশ্নও তোলেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর বেরোয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে, তা তিনি প্রকাশ্যে আনতে নারাজ। যদিও শনিবার সেই অভিযোগও খারিজ করে ট্রাম্প জানান, এ নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তাঁর কথায়, ‘‘গোপন করার মতো কিছু নেই। আমার কিছু যায় আসে না।’’
তবু প্রেসিডেন্ট তেমন সুবিধাজনক অবস্থায় নেই বলেই মনে করছেন মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশ। রুশ-তদন্তে মিথ্যে সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাঁর প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। প্রেসিডেন্টের প্রচারে আইন ভেঙে তহবিল গড়ার দায়ে তিন বছরের জেল হয়েছে ট্রাম্পের বহুদিনের আইনজীবী মাইকেল কোহেনের। মুলারের কাঠগড়ায় ফেঁসে গিয়েছেন প্রেসিডেন্টের এক সময়কার প্রচার ম্যানেজার পল ম্যানাফোর্টও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy