—ফাইল চিত্র।
পেল্লায় টেবিলের উপর টানটান করে পাতা দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র। খানিক পরেই ব্রিফিং করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই তাঁর পরামর্শদাতাদেরও চোখ আটকে সেই মানচিত্রে। নির্বিকার। শুধু ট্রাম্পকেই যেন একটু চিন্তিত মনে হল। বিশেষত ভারত ও তার আশপাশের চেহারাটা দেখে। চোখ কুঁচকে আরও এক বার ‘ফোকাস’ করলেন ভারত-নেপাল-ভুটানে। তার পর দুম করে বলে বসলেন, ‘‘আরে, এ তো দেখছি আলাদা। আমি জানতাম, নেপাল ভারতেরই অংশ!’’
রীতিমতো বিষম খাওয়ার জোগাড়। তবু প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে প্রেসিডেন্টেরই এক পরামর্শদাতা সাহস করে ভুলটা ধরিয়ে দিলেন— ‘‘না, না, নেপাল আলাদা রাষ্ট্র।’’ ট্রাম্পের চোখে কিন্তু তখনও অবিশ্বাস। এ বার পড়লেন ভুটানকে নিয়ে। সেই এক দাবি। এবং আবারও ভুল ভাঙল প্রেসিডেন্টের।
ফের ভূগোল গোলালেন ট্রাম্প। তা ধরিয়ে দেওয়ায় আবার রেগেও গেলেন। হোয়াইট হাউসে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ‘ঐতিহাসিক’ ঘটনা নিয়ে গত কাল খবর করেছে একটি মার্কিন সংবাদমাধ্য়ম। যা নিয়ে আজ দিনভর হাসি-ঠাট্টায় মেতে রইলেন নেটিজেনরা। তাঁরাই মনে করিয়ে দিলেন, গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী ভাবে টুইটারে একহাত নিয়েছিলেন দেশের গোয়েন্দাদের। গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, ইরান এখন আর পরমাণু বোমা তৈরি করছে না। এতেই খেপে গিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘যত সব অজ্ঞের মতো কথা। দেশের গোয়েন্দাদের ফের স্কুলে ভর্তি হওয়া উচিত।’’
কিন্তু তিনি নিজে কী বলে বসলেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠল মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘সাধারণ জ্ঞান’ নিয়েও। অবশ্য এ বারই প্রথম নয়। ২০১৭-য় নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে নেপালকে ‘নিপল’ আর ভুটানকে ‘বাটন’ বলে অস্বস্তির মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy