টিউলিপ সিদ্দিক
বছর বত্রিশের মিতভাষী তরুণী। লন্ডনের হ্যাম্পস্টে়ড ও কিলবার্ন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। বক্তৃতা করছেন, সামলাচ্ছেন সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণও। ইনি টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার কন্যা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনঝি।
ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন ৭ মে। টিউলিপের এখন শিরে সংক্রান্তি। হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন থেকে লেবার পার্টির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন তিনি! বয়স অল্প হলেও রাজনীতিতে নবাগতা নন টিউলিপ। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে পাশের পর লেবার নেতা মিলিব্যান্ডের সহযোগী হিসেবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে কাজ করেছেন। ২০১০ সালে লন্ডনের ক্যামডেনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এই আসন থেকে নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন গত বছরই।
টিউলিপের কথায়, ‘‘পরিবর্তন আনার জন্যই আমি রাজনীতিতে এসেছি।’’ বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে পশ্চিম হ্যামস্টেডে থাকেন টিউলিপ। স্থানীয় মানুষদের সমস্যা, অভাব-অভিযোগ তাঁর অজানা নয় বলে সব সময়ই দাবি করে এসেছেন টিউলিপ। তবে তাঁর সামনে এখন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এত দিন পর্যন্ত হ্যাম্পস্টেড থেকে লেবার পার্টির হয়ে লড়তেন অস্কার-জয়ী অভিনেত্রী গ্লেন্ডা জ্যাকসন। গ্লেন্ডার ছেড়ে যাওয়া আসনেই এ বার লড়তে হবে হাসিনার বোনঝিকে। তবে টিউলিপ জানিয়েছেন, এই লড়াইয়ে গ্লেন্ডা তাঁকে পূর্ণ সমর্থন করছেন।
নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার আগে টিউলিপকে কি বিশেষ কিছু উপদেশ দিয়েছেন মাসি?
টিউলিপের কথায়, ‘‘মাসির কাছ থেকে আমি সততা, সামাজিক ন্যায় ও সাম্যের মূল্যবোধ শিখেছি।’’ এখন দেখার, হাউস অব কমন্সে টিউলিপের ঠাঁই হয় কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy