Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
International News

চিনের প্রাচীর কোথায়? গেম শোয়ে তরুণী বললেন...

প্রশ্নটা রাখা হয়েছিল ‘হু ওয়ান্টস টু বি আ মিলিয়নেয়ার’ গেম শো-এর ম়ঞ্চে। এ দেশে যা ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ হিসাবে পরিচিত। তুরস্কীয় সংস্করণের ওই গেম শো-তে প্রতিযোগীর আসনে বসেছিলেন বছর ছাব্বিশের সু আয়হান।

গেম শো-তে সু আয়হান। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

গেম শো-তে সু আয়হান। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
আঙ্কারা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৮ ১১:৩৩
Share: Save:

চিনের প্রাচীর কোথায় রয়েছে? চিনে, ভারতে, দক্ষিণ কোরিয়ায় না জাপানে? অনেকেই বলবেন, এ তো অতি সোজা প্রশ্ন! তবে এমন সোজা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই রীতিমতো খাবি খেলেন তুরস্কের এক তরুণী। তা-ও আবার এক গেম শোয়ে। যা নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।

প্রশ্নটা রাখা হয়েছিল ‘হু ওয়ান্টস টু বি আ মিলিয়নেয়ার’ গেম শো-এর ম়ঞ্চে। এ দেশে যা ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ হিসাবে পরিচিত। তুরস্কীয় সংস্করণের ওই গেম শো-তে প্রতিযোগীর আসনে বসেছিলেন বছর ছাব্বিশের সু আয়হান। চিনের প্রাচীরের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করে সুয়ের সামনে সঠিক জবাবের চারটি অপশনও দিয়েছিলেন সঞ্চালক। কিন্তু, প্রশ্ন শুনেই ইস্তানবুলের বাসিন্দা সুয়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

অর্থনীতির স্নাতক সু এ বার গেম শো-র একটি লাইফলাইন ‘অডিয়েন্স পোল’ ব্যবহার করবেন বলে স্থির করেন। অতএব প্রশ্নটি ছোড়া হয় দর্শকদের দিকে। তাতেও অবাক করা কাণ্ড। দর্শকদের মধ্যে ৫০ শতাংশ সঠিক জবাব দেন। বাকিদের অনেকে জানান, চিনের প্রাচীর রয়েছে ভারতে! এক-চতুর্থাংশ দর্শক জানেনই না, চিনের প্রাচীর কোথায় রয়েছে।

আরও পড়ুন: বাচ্চা কাঁদছিল, ‘ব্লাডি...’ বলে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হল লন্ডনে

দর্শকদের এ হেন ‘অজ্ঞতা’ দেখে সু এ বার ‘ফোন আ ফ্রেন্ড’ লাইফলাইনের সাহায্য নেন। অবশেষে মুখরক্ষা করেন সুয়ের বন্ধুই। জানিয়ে দেন, চিনের প্রাচীর রয়েছে চিনেই! স্বস্তি পান সু। তবে তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সুয়ের জ্ঞানের পরিধি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। এক জন তো লিখেই ফেলেছেন, “আমার মনে হয় সু অশিক্ষিত।” সঙ্গে ব্যঙ্গের খোঁচা, “তবে মাত্র পাঁচ মিনিটেই এখন তিনি তুরস্ক থেকে চিনে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন। কেন, তা জানতে চাইবেন না নিশ্চয়ই। তাই না সু আয়হান!”

আরও পড়ুন: ‘অনেকেই বলেন, আমায় নাকি দেখতে কবিগুরুর মতো’

সোশ্যাল মিডিয়ায় যতই হাসাহাসি চলুক না কেন, সু নিজে এ নিয়ে ভাবলেশহীন। বরং তাঁর দাবি জবাবটা জানতেন। শুধু এক বার নিশ্চিত হওয়ার জন্যই ওই দু’টি লাইফলাইন ব্যবহার করেছেন। দমে না গিয়ে তাঁর সাফ কথা, “তা ছাড়া, আমি যখন খুশি লাইফলাইন ব্যবহার করতে পারি!”

আন্তর্জাতিক স্তরের বাছাই করা ঘটনাগুলো নিয়ে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE