বিস্ফোরণস্থল। ছবি: রয়টার্স।
আতঙ্কের চেনা ছবিটা আবার ফিরে এল ইস্তানবুলে। পর পর দু’টি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইস্তানবুল। শনিবার ইস্তানবুলের বেসিকটাসের ফুটবল ক্লাবের কাছে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ২৭ জন পুলিশকর্মী সহ ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও ১৬৬ জন। বিস্ফোরণে জড়িত থাকার সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে জানা গিয়েছে, ওই দিন ভোডাফোন আরেনা ফুটবল স্টেডিয়ামে বেসিকটাস এবং বুরসাস্পোরের মধ্যে সুপার লিগের ম্যাচ চলছিল। ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন প্রচুর দর্শক। ম্যাচ তখন সবে মাত্র শেষ হয়েছে। এক এক করে স্টেডিয়াম ছেড়ে বাইরে বেরোচ্ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। তখনই একটা বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম। প্রথম বিস্ফোরণের ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে ফের আরও একটা জোরাল বিস্ফোরণ।
পরপর এই দু’টি বিস্ফোরণে ব্যস্ত স্টেডিয়াম চত্বরের চেহারাটা মুহূর্তে বদলে যায়। খেলা দেখার আনন্দ বদলে যায় আর্তনাদে। জায়গায় জায়গায় তখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত, ছিন্নভিন্ন দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে স্টেডিয়ামের বাইরে রাখা একটি গাড়িতে। আর দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে নিকটবর্তী ম্যাকা পার্কে। সেটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলেই মনে করছে পুলিশ। বিস্ফোরণের পরেই ১০ সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশ।
এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘‘রাতে যে ভাবে ফুটবল ম্যাচের সময়টাকে টার্গেট করা হয়েছিল তাতে নিশ্চিত বেশি প্রাণহানির জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রচুর পুলিশ কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। বিস্ফোরণে কাদের হাত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।’’
চলতি বছরের জুন মাসেও ইস্তানবুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়েছিল। যে বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছিল ৪১ জনের। আহত হয়েছিলেন ২৩৯ জন।
আরও পড়ুন: দলে দৌড়ে এগিয়ে শশিকলা, সরব জয়ার ভাইঝি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy