উদ্ধারের পর কাঠমাণ্ডুর হাসপাতালে লিয়াং। ছবি: রয়টার্স
পাহাড়ের নেশায় এক সঙ্গে ঘর ছেড়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই পাহাড়ের পাকদণ্ডী পথই যে তাঁদের দিকভ্রান্ত করবে বুঝতে পারেননি তাইওয়ানের লিয়াং শেন য়ু আর লিউ চেন চুন। এসেছিলেন একসঙ্গে, কিন্তু ফেরা হল না আর। হিমালয়ের কোলেই গার্লফ্রেন্ড লিউকে রেখে যেতে বাধ্য হলেন লিয়াং।
তাইওয়ান থেকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে নেপালে ট্রেকিং করতে এসেছিলেন ২১ বছরের লিয়াং ও ১৯ বছরের লিউ। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, মধ্য নেপালের ধাদিংয়ের কাছে ট্রেক করার সময় হারিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুগল। খবর গিয়েছিল তাইওয়ানে লিয়াংয়ের বাড়িতেও। অভিযানে গিয়ে ছেলে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে শুনেই লিয়াংয়ের বাবা নেপালে চলে আসেন। হেলিকপ্টার নিয়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। শেষ পর্যন্ত ৪৭ দিন পর বৃহস্পতিবার টিপলিংয়ের কাছে উত্তর ধাদিংয়ের একটি উপত্যকা থেকে উদ্ধার করা হয় লিয়াংকে। যদিও ঠাণ্ডায় আর অনাহারে তার দিন তিনেক আগেই মারা গিয়েছিলেন লিউ।
আরও পড়ুন: মার্কিন আলোচনার প্রস্তাব শুনে খুশি চিন
উদ্ধারকাজে যাওয়ার আগে মানচিত্র দেখে লিয়াংদের অবস্থান বোঝার চেষ্টা চলছে। ছবি: রয়টার্স
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৬০০ মিটার অর্থাৎ ৮,৫০০ ফুট উচ্চতায় যখন লিয়াংকে দেখা যায় তখন বরফের উপর ঘুমিয়ে ছিল সে। উদ্ধারকারী দলের মাধব বসনত জানান, ‘‘আমাদের দেখে চোখ খুলল লিয়াং। আমরা ভাবতেও পারিনি যে ও বেঁচে আছে। দ্রুত ওঁকে নীচে নামিয়ে এনে চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।’’
লিয়াংয়ের চিকিৎসক সঞ্জয় কারকি জানিয়েছেন, লিয়াংয়ের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাঁর ৩০ কেজি ওজন কমে গিয়েছে। ডান পায়ের ক্ষত মারাত্মক আকার নিয়েছে। তবে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন লিয়াং।
পাহাড়ে ঘেরা এই অঞ্চল থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল লিয়াংদের। স্যাটেলাইট চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy