Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Boris Jonshon

বাগ্‌দান সারা, বাবা হচ্ছেন বরিস

৫৫ বছর বয়সি জনসন হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে একই সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ, বিয়ে এবং সন্তানের বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা লাভ করছেন!

ইনস্টাগ্রামে এই ছবি দিয়ে জোড়া সুখবর জানান কেরি।

ইনস্টাগ্রামে এই ছবি দিয়ে জোড়া সুখবর জানান কেরি।

শ্রাবণী বসু
লন্ডন শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২০ ০২:২৪
Share: Save:

বাগ্‌দান পর্ব সারা হয়ে গিয়েছে, এ খবরটাই যথেষ্ট চমক ছিল। তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আর তাঁর ভাবী স্ত্রী কেরি সাইমন্ডস জানিয়েছেন, কিছু দিনের মধ্যে বাবা-মা হতে চলেছেন তাঁরা। গত কাল বিকেলে কেরি তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, গত বছরের শেষে তাঁরা বাগ্‌দান পর্ব সেরেছিলেন।

৫৫ বছর বয়সি জনসন হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে একই সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ, বিয়ে এবং সন্তানের বাবা হওয়ার অভিজ্ঞতা লাভ করছেন! এই ঠিকানায় ২০১০ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের চতুর্থ সন্তানের জন্ম হয়েছিল। জনসন-কেরির আর একটি রেকর্ড— বিয়ে না করেও ডাউনিং স্ট্রিটে এই প্রথম থাকতে শুরু করেছেন কোনও দম্পতি।

সদ্য বরিসের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি পটেল দুর্ব্যবহারের অভিযোগে শিরোনামে এসেছেন। বরিস নিজে ব্রিটেনের বন্যাদুর্গত এলাকায় যাননি বলেও সমালোচিত হন। আপাতত জোড়া সুখবর কিছুটা স্বস্তিতে রাখছে প্রধানমন্ত্রীকে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী মেরিনা হুইলারের সঙ্গে ২৫ বছরের বিয়েতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইতি টেনেছেন বরিস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে ছিলেন মেরিনার বাবা চার্লস হুইলার। শিখ মহিলা দীপ সিংহকে বিয়ে করেন তিনি। প্রাক্তন জামাই জনসন শ্বশুরবাড়ির ভারতীয় সংযোগ নিয়ে উৎসাহী ছিলেন। পারিবারিক বিয়েতে ভাংড়া নেচে মজা পেয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সে সবই এখন স্মৃতি। ২০১৮ সালে আলাদা হয়ে যান মেরিনা-বরিস। সম্প্রতি সারভাইকাল ক্যানসার থেকে সেরে উঠেছেন বরিসের প্রাক্তন স্ত্রী। এখন স্মৃতিকথা লিখছেন। পারিবারিক সম্পত্তি থেকে ৪০ লক্ষ পাউন্ড পাবেন মেরিনা। তাঁদের চার সন্তান।

তিনি আদতে কত জন সন্তানের বাবা, এ প্রশ্ন এড়িয়েই যান বরিস। কেরির সন্তান জন্মালে তিনি অন্তত ছ’জন সন্তানের বাবা হবেন বলে দাবি। মেরিনার সঙ্গে থাকতে থাকতেই বরিসের প্রেম হয় শিল্প উপদেষ্টা হেলেন ম্যাকিনটায়ারের সঙ্গে। ২০০৯ সালে হেলেন-বরিসের কন্যা স্টেফানির জন্ম। প্রথমে জনসন পিতৃত্ব অস্বীকার করেছিলেন। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ানোয় ২০১৩ সালে সবই ফাঁস হয়ে যায়। স্টেফানির সঙ্গে মেরিনার সন্তানদের কোনও যোগাযোগ নেই।

জনসন আগাগোড়াই বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, তাঁর পারিবারিক জীবন একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তাই এ নিয়ে তিনি কোনও কথা বলতে চান না। গত বছর ভোটের আগে সংবাদমাধ্যমে বারবার তাঁকে পরিবার নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। শুধু বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় না, এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে দেশ আগ্রহী। ব্রেক্সিট কী ভাবে হবে, মানুষ বরং সেটা জানতে আগ্রহী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Boris Jonshon UK Prime Minister
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE