Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Pakistan

পাকিস্তানেও সঙ্কটের মুখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বলল রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট

বেশ কয়েকটি উদাহরণও তুলে এনেছে সিএসডব্লিউ-এর রিপোর্ট, যা দেখাচ্ছে ক্রমেই পাকিস্তানে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হয়েছেন সংখ্যালঘুরা। ২০১৯ সালের মে মাসে রমেশ কুমার মাহি নামক এক সার্জেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি কোরানের একটি পাতায় মুড়ে ওষুধ বিক্রি করেছেন।

ইমরানের সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল রাষ্ট্রপুঞ্জের।ফাইল চিত্র

ইমরানের সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল রাষ্ট্রপুঞ্জের।ফাইল চিত্র

সংবাদসংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:১৪
Share: Save:

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নেমে আসা আক্রমণের জন্যে এবার পাক সরকারকে এক হাত নিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জের কমিশন অন দ্য স্টেটাস অফ দ্য ওম্যানের (সিএসডব্লিউ) তরফে পেশ করা একটি রিপোর্টে সম্প্রতি পাকিস্তানের বর্তমান শাসক দল পাকিস্তান-তেহেরিক-ই -ইনসাফের বৈষম্যমূলক কার্যকলাপকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব সঙ্কটের জন্যে দায়ী করা হয়েছে। কমিশনের রিপোর্ট স্পষ্টই বলছে, পাকিস্তানে হিন্দু এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অবস্থা সঙ্কটজনক। বিশেষত ওই সম্প্রদায়ভুক্ত মহিলা ও নারীদের অবস্থা আরও খারাপ।

চলতি মাসেই প্রকাশ পেয়েছে সিএসডব্লিউ-এর ৪৭ পাতার ওই রিপোর্ট। ‘আক্রমণের মুখে পাকিস্তানের ধর্মীয় স্বাধীনতা’শীর্ষক এই রিপোর্টে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে পাকিস্তানের বর্তমান হিংসা ও নৈরাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে। রিপোর্ট বলছে, নানা ধরনের ধর্মীয় ও আহমেদিয়া বিরোধী আইন প্রয়োগ করে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের একঘরে করা হচ্ছে রাজনৈতিক ফায়দার জন্যে।

রিপোর্টটির একটি অংশে লেখা হচ্ছে, ‘‘প্রতি বছর অসংখ্য অমুসলিম মেয়েদের পাকিস্তানে অপহরণ করা হয়। ধর্মান্তরিত করিয়ে জোর করে মুসলিম পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। বেশির ভাগ মেয়েই আর বাড়ি ফিরতে পারেন না। পুলিশি সদিচ্ছার অভাব, দুর্বল বিচারব্যাবস্থা এবং সর্বোপরি উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তাদের বৈষম্যমূলক আচরণের জন্যেই এই ধরণের ঘটনা ঘটে চলেছে।’’

বেশ কয়েকটি উদাহরণও তুলে এনেছে সিএসডব্লিউ-এর রিপোর্ট, যা দেখাচ্ছে ক্রমেই পাকিস্তানে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হয়েছেন সংখ্যালঘুরা। ২০১৯ সালের মে মাসে রমেশ কুমার মাহি নামক এক সার্জেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি কোরানের একটি পাতায় মুড়ে ওষুধ বিক্রি করেছেন। তাঁর দোকান-সহ আশেপাশের হিন্দুদের দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে কমিশন জানিয়েছে, তিন দশকের বেশি সময় ধরে, পাকিস্তানে শরিয়তি আইন ব্যবহার করে চরমপন্থাকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। নষ্ট করা হচ্ছে সৌহার্দ্যের আবহ। অনেক সময়েই দেখা হচ্ছে, মিথ্যে মামলা দেওয়া হচ্ছে অমুসলিমদের নামে, আইন হাতে তুলে নিচ্ছে উন্মত্ত জনতা, যার ফল মারাত্মক।

কমিশন আরও জানিয়েছে, পঞ্জাব ও সিন্ধ অঞ্চলে ১৮ বছরের কম বয়েসি অমুসলিম মেয়েদের বারবার অপহরণ এবং জোর করে বিয়ে করার ঘটনা ঘটে কারণ তারা আর্থসামাজিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE