Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

পার্লামেন্টেও কি ছড়ি সিরিসেনার

প্রধানমন্ত্রী পদে মাহিন্দা রাজাপক্ষকে নিয়োগ করা রীতিমতো অসাংবিধানিক বলে সুর চড়াচ্ছে দেশের একটা বড় অংশ।

প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। ছবি: রয়টার্স।

প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
কলম্বো শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৫৯
Share: Save:

এক জন কাল শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। আর এক জন সেই গদি আঁকড়েই আজ দিনভর দিব্যি অফিস করে গেলেন! অভূতপূর্ব সাংবিধানিক সঙ্কট শ্রীলঙ্কায়। দেশে কি এখন জোড়া প্রধানমন্ত্রী— প্রশ্ন উঠল অন্দরেই।

প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা রাতারাতি তাঁকে ছেঁটে ফেললেও অনড় রনিল বিক্রমসিংঘে। কাল বলেছিলেন, ‘‘এখনও আমিই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। একমাত্র পার্লামেন্টই পারে আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে।’’ নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে জরুরি অধিবেশন ডাকার কথা বলে আজ তিনি চিঠিও লিখেছিলেন পার্লামেন্টের স্পিকারকে। কিন্তু তার পর-পরই পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করে বসলেন সিরিসেনা। ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত থাকছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী পদে মাহিন্দা রাজাপক্ষকে নিয়োগ করা রীতিমতো অসাংবিধানিক বলে সুর চড়াচ্ছে দেশের একটা বড় অংশ। শ্রীলঙ্কায় ক্ষমতাবদলের বিষয়টিকে ‘চূড়ান্ত রহস্যজনক’ বলে আজ তোপ দেগেছে তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল ডিএমকে। রাজাপক্ষে ফিরে আসায় শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী মৎস্যজীবীদের সঙ্কটে পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেন ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন। ২০০৯-এ গৃহযুদ্ধ চলাকালীন ব্যাপক তামিল-নিধনের পিছনেও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের হাত ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।

কাল পর-পর দু’টো গেজেট নোটিস পাঠিয়ে ক্ষমতার রদবদল করেন সিরিসেনা। সরানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবকেও। পাল্টা চিঠিতে রনিল জানিয়েছেন তিনি পদ ছাড়তে নারাজ। আজও সন্ধে পর্যন্ত অফিসেই ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করেন। রাজাপক্ষের নিয়োগের বিরোধিতা করে রনিল আজও বলেন, ‘‘এই সঙ্কট ‘তৈরি করা’। পার্লামেন্টে খুব সহজেই আমার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ হয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE