Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

হংকংয়ে বোতল বোমার পাল্টা জলকামান

গত কালই আইনসভার তিন সদস্য-সহ প্রথম সারির বেশ কয়েক জন গণতন্ত্রকামী নেতাকে গ্রেফতার করেছিল হংকং পুলিশ। তাঁরা যাতে  শনিবার ফের বিক্ষোভে উস্কানি না দেন, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখা হয়েছিল।

অশান্ত: লাগাতার আন্দোলন চলছেই। বিক্ষোভকারীদের রুখতে জলকামান থেকে নীল জল ছুঁড়ল পুলিশ। রাস্তা ঢাকল কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায়। শনিবার হংকংয়ের চিনা সরকারি দফতরের সামনে। এপি

অশান্ত: লাগাতার আন্দোলন চলছেই। বিক্ষোভকারীদের রুখতে জলকামান থেকে নীল জল ছুঁড়ল পুলিশ। রাস্তা ঢাকল কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায়। শনিবার হংকংয়ের চিনা সরকারি দফতরের সামনে। এপি

সংবাদ সংস্থা
হংকং শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৪
Share: Save:

পুলিশের নিষেধ ছিল। তা উপেক্ষা করে আজ হংকংয়ের রাজপথ ফের অবরোধ করেন অসংখ্য মানুষ। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। চলে জলকামান। পুলিশি ব্যারিকেড সরাতে বিক্ষোভকারীরাও বোতল বোমা ছুড়ে আগুন লাগিয়ে দিলেন রাজপথে।

গত কালই আইনসভার তিন সদস্য-সহ প্রথম সারির বেশ কয়েক জন গণতন্ত্রকামী নেতাকে গ্রেফতার করেছিল হংকং পুলিশ। তাঁরা যাতে শনিবার ফের বিক্ষোভে উস্কানি না দেন, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখা হয়েছিল। সব নিষেধ উড়িয়ে আজও বিক্ষোভে উত্তাল হল হংকং। প্রতিবাদের প্রতীক কালো টি-শার্ট আর জলকামান থেকে বাঁচতে রঙিন ছাতা মাথায় মানুষ শহরের অর্ধেক রাস্তার দখল নেন। সকালের শান্ত প্রতিবাদ-মিছিল বিকেল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে ওঠে হিংসাত্মক। বোতল বোমা নিয়ে রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা। সন্ধেয় তাঁরা হংকংয়ের পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের সদর দফতরের সামনে ব্যারিকেডে আগুন জ্বালানো হয়। প্রায় আধ ঘণ্টা কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছিল শহরের আকাশ।

গত কাল থেকে সুর চড়িয়েছে চিনের বিদেশ মন্ত্রকও। প্রথম থেকেই এই বিক্ষোভকে সন্ত্রাসের তকমা দিয়েছে তারা। আজ বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শেনঝেন সীমান্তে দাঙ্গা-দমনকারী পুলিশের মহড়া আরও জোরদার করা হয়েছে। ফলে চিনা সেনাবাহিনীর হংকংয়ে ঢোকার জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে আজ থেকে।

আজ সকাল থেকেই শহরের আকাশে ঘুরে বেড়িয়েছে পুলিশের কপ্টার। আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণ দেখিয়ে জমায়েত করতে নিষেধ করা হয় শহরবাসীকে। কিন্তু হংকংয়ের সাধারণ মানুষ যে সে কথা কানেই তোলেননি আজকের বিক্ষোভ-প্রতিবাদই তার প্রমাণ। আজ বিক্ষোভকারীদের একাংশ শহরের প্রশাসক ক্যারি ল্যামের বাড়ির সামনে গিয়েও ধর্না দেন। বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল পুরোপুরি প্রত্যাহারের পাশাপাশি ক্যারির ইস্তফার দাবিতেও এত দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হংকংবাসী।

এ নিয়ে ১৩তম সপ্তাহে পড়ল হংকংয়ের বিক্ষোভ। দুই সন্তানের মা, মধ্য তিরিশের এক তরুণী বললেন, ‘‘হয় এখনই, নয়তো কখনও না। হংকংয়ের অবস্থা এখন এটাই। সন্তানদের আনতে পারিনি। তবে তাদের ঠাকুরমা আজ পথে নেমেছেন।’’

২২ বছরের এক ছাত্র বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ মিছিলে কিছুই হওয়ার নয়।’’ আগামী কাল আরও বড় অশান্তি হয় কি না, সেই আশঙ্কায় প্রহর গুনছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hong Kong Carrie Lam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE