নরেন্দ্র মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প।— ফাইল চিত্র।
রুশ অস্ত্র আমদানিতে ভারতের ওপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল আমেরিকা। এই মর্মেই একটি বিল পাস হল মার্কিন কংগ্রেসে। রাশিয়ার সঙ্গে কোনওরকম অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত থাকলে সেই দেশের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার বিধি ছিল মার্কিন বিদেশনীতিতে। যদিও নতুন বিল পাশের পর ভারতের মত কৌশলগত সহযোগীর ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না। সেই ফাঁকফোকর মাথায় রেখেই নতুন আইন বানানো হয়েছে, এমনটাই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। রাশিয়ার কাছ থেকে তিরিশ হাজার আটশো কোটি টাকা দিয়ে পাঁচটি ট্রাইউম্ফ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (এস -৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র) কেনার কথা ভারতের। কিন্তু মার্কিন বিধিনিষেধের আওতায় পড়ে যেতে পারে নয়াদিল্লি, তা নিয়ে একটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। নতুন বিলে সেই সংশয় কাটল, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আপাতত কাকে, কী ভাবে এই ছাড় দেওয়া হবে, তা ঠিক করার দায়িত্ব মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতে রাখা হয়েছে। সহযোগী দেশগুলিকে সাহায্যের কথা মাথায় রেখেই এই নয়া নীতি, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে সহযোগী দেশ হলেও নিজস্ব অস্ত্রভান্ডারে রাশিয়া নির্ভরতা কমানো হচ্ছে, সেই প্রমাণ দিতে হবে, তবেই মিলবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছাড়। সেই কথাও সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা আছে বিলটিতে।
নয়াদিল্লি অবশ্য আগেই ঘোষণা জানিয়েছিল, মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেন হবে। ওই চুক্তি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। আমেরিকাকেও তা জানিয়ে দেওয়া হয়। এ বার মার্কিন প্রশাসন নিজেই সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে জেনে বিদেশ মন্ত্রকের বিশ্লেষণ, সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিরক্ষা ও বিদেশমন্ত্রী স্তরে ভারত-মার্কিন বৈঠকের আগে এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ওই বৈঠক হওয়ার কথা। সুষমা স্বরাজ, নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেয়ো ও প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিস।
আরও পড়ুন: রুশ বাহিনীর লেডি কিলার, এঁদের ভয় পেতেন হিটলারও
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ভারতকে এই ছাড় পাইয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রশাসনের তরফে ম্যাটিস নিজে তৎপর হয়েছিলেন। আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নভতেজ সারনার নেতৃত্বে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ভারতীয় কূটনীতিকরাও।
আরও পড়ুন: ইমরানের শপথে ডাক সানি, কপিল, আমিরকেও
কিছুদিন আগেই সাতহাজার কোটি টাকা দিয়ে আমেরিকার কাছ থেকে নয়াদিল্লির জন্য ক্ষেপণাস্ত্ররোধী বলয় বা মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কেনার কথা জানায় ভারত। ভারতের এই সিদ্ধান্তও আমেরিকাকে খুশি করেছে, এমনটাও মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy