Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

সরাতে পারেন ম্যাটিসকেও, ইঙ্গিত ট্রাম্পের

ম্যাটিসকে সরানো নিয়ে ট্রাম্পের এই ইঙ্গিতের পরে মার্কিন রাজনীতিতে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

জেমস ম্যাটিস

জেমস ম্যাটিস

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৪০
Share: Save:

গত সপ্তাহেই ইস্তফা দিয়ে চমকে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তখনই জানিয়েছিলেন, প্রশাসনে বেশ কিছু রদবদল করতে চলেছেন তিনি। গত কাল একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিসকে সরাতে পারেন তিনি। তবে কবে, তা স্পষ্ট করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

টিভি চ্যানেলটির সাক্ষাৎকারে প্রশাসনিক রদবদল সংক্রান্তই প্রশ্ন করা হয়েছিল ট্রাম্পকে। প্রতিরক্ষাসচিবের নাম করে জি়জ্ঞেস করা হয়েছিল, তাঁকে সরানো হচ্ছে কি না। তারই উত্তরে ট্রাম্প জানান, ম্যাটিসকে সরানো হলেও হতে পারে। কারণ ট্রাম্পের মতে, ম্যাটিস নাকি ‘কিছুটা ডেমোক্র্যাটদের মতো’। তবে সেই সঙ্গেই ট্রাম্পের সংযোজন, ‘‘কিন্তু জেনারেল ম্যাটিস খুবই ভাল লোক। আমার সঙ্গে বনিবনা ভালই। উনি হয়তো চলে যেতে পারেন কোনও এক সময়ে। সকলকেই তো যেতে হবে কোনও না কোনও দিন।’’ ট্রাম্প সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, দিন দুই আগেই ম্যাটিসের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন তিনি। তখন অবশ্য ম্যাটিস পদ ছাড়া নিয়ে তাঁকে কিছু জানাননি।

ম্যাটিসকে সরানো নিয়ে ট্রাম্পের এই ইঙ্গিতের পরে মার্কিন রাজনীতিতে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ নিকি পদত্যাগ করার পরেও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল। এত দিন ম্যাটিসকে ট্রাম্পের কাছের লোক বলেই মনে করতেন মার্কিন রাজনীতির বিশেষজ্ঞেরা। ট্রাম্প মন্ত্রিসভার অন্যতম ভরসার লোক বলেও ভাবা হত ম্যাটিসকে। সেই প্রতিরক্ষাসচিবকে সরানোর ইঙ্গিতে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। ট্রাম্প যদিও স্পষ্টই বলেছেন, ‘‘আমি জানি আমার মন্ত্রিসভা দারুণ। কিন্তু ওখানে এমন কিছু লোক রয়েছেন, যাঁদের আমি খুব একটা পছন্দ করি না।’’ আর তাঁদেরই সরানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট।

ওই একই সাক্ষাৎকারে আবার ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচন নিয়েও মুখ খুলেছেন ট্রাম্প। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ওই নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল বলে তিনি আদৌ মনে করেন কি না। উত্তরে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘আমার তো মনে হয় চিনও ২০১৬-র ভোটে হস্তক্ষেপ করেছিল। আর আমার মনে হয়, চিন আসলে আরও বড় সমস্যা।’’ সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, তা হলে কি রাশিয়ার থেকে সকলের নজর সরাতে আপনি চিনের নাম নিচ্ছেন? ট্রাম্পের জবাব, ‘‘আমি রাশিয়ার কথা বলছি। আর চিনের কথাও।’’ তবে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে বিশেষ আইনজীবী রবার্ট মুলারের তদন্তে যে তিনি একেবারেই সন্তুষ্ট নন, তা ফের স্পষ্ট করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় ওই তদন্ত খুবই অন্যায্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE