প্রতিবাদ: এই ছবিই টুইট করেছেন রেস ইম্বোডেন।
মাসখানেক আগেই মহিলা বিশ্বকাপে খেলার আগে জাতীয় সঙ্গীত গাইবেন না জানিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন মার্কিন মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক মেগান র্যাপিনো। এ বার আমেরিকার ফেন্সিং টিম–এর সদস্য এবং অলিম্পিকজয়ী খেলোয়াড় রেস ইম্বোডেন জাতীয় সঙ্গীতের সময়ে মঞ্চে হাঁটু মুড়ে বসে প্রতিবাদ জানালেন। প্যান আমেরিকান গেমসে সোনা জয় করে পেরুর লিমায় পুরস্কার নিতে গিয়েছিল ফেন্সিং টিম। সেখানেই জাতীয় সঙ্গীতের সময়ে উঠে না দাঁড়িয়ে বর্ণবিদ্বেষ, অস্ত্র আইন, শরণার্থীদের প্রতি অবিচার এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘৃণা ছড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান ইম্বোডেন।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘কিছু বিষয় আছে, যেগুলো নজরে আনা দরকার। এই মঞ্চে নিজের মুহূর্তটা বিলিয়ে দিয়ে সেই বিষয়গুলোর দিকে নজর কাড়তে চাইছি। অন্যদেরও বলছি, নিজের জায়গাটা ব্যবহার করে ক্ষমতায়ন ও পরিবর্তনের কথা বলুন।’’ ২৬ বছর বয়সি রেস যে মার্কিন দলের সদস্য হয়ে সোনা জিতেছেন, তার অন্য দুই সদস্য গেরেক মাইনহার্ট এবং নিক ইটকিন অবশ্য জাতীয় সঙ্গীতের সময়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এখন মার্কিন রাজনীতিতে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সাম্প্রতিক কালে টেক্সাস ও ওহায়োয় বন্দুকবাজের পরপর হামলার পরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শরণার্থীদের বিরুদ্ধেও ধারাবাহিক ভাবে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। পুলিশ জানিয়েছে, টেক্সাসের এল পাসোয় ২২ জনকে মেরে বন্দুকবাজ বলেছে, মেক্সিকোর লোকেরাই নিশানায় ছিল।
এ মাসের গোড়ায় আর এক ফুটবলার (ফিলাডেলফিয়ার মিডফিল্ডার) আলেহান্দ্রো বেদোইয়া অস্ত্র হিংসা নিয়ে সরব হন। একই ভাবে প্রতিবাদ জানান মার্কিন পুরুষদের বাস্কেটবল দলের প্রশিক্ষক গ্রেগ পোপোভিচ। তাঁর কথায়, ‘‘ক্ষমতায় থাকা লোকেরা যদি তাঁদের দম্ভ ঝেড়ে ফেলে কিছু করে দেখান...।’’ ‘গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্স’ বাস্কেটবল দলের প্রশিক্ষক স্টিভ কার বলছেন, ‘‘আমাদের সহজেই আঘাত করা যায়, গির্জা-শপিং মল-সিনেমা হল-স্কুল যেখানে খুশি এমনটা ঘটতে পারে। মেরুদণ্ডহীন প্রশাসন এটা ঘটে যেতে দেবে— মার্কিন নাগরিকদেরই ভাবতে হবে, এর কোনও পরির্বতন তাঁরা চান কি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy