Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
International News

চিন-রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে হেরে যেতে পারে আমেরিকা! আশঙ্কা মার্কিন কংগ্রেসেরই প্যানেলের

প্যানেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, একবিংশ শতাব্দীতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে মিসাইল, সাইবার, আকাশসীমা, ডুবোজাহাজের মতো সামরিক ক্ষেত্রে কার্যত নজরই দেওয়া হয়নি। ফলে কার্যত ফাঁপা হয়ে গিয়েছে এই সব ক্ষেত্রগুলি।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:১২
Share: Save:

গোটা বিশ্বের উপর মার্কিন সামরিক আধিপত্যের জমানা কি এ বার শেষ হতে চলেছে? শক্তিধর হিসাবে উঠে আসতে পারে রাশিয়া বা চিন? সম্প্রতি এমন সতর্কবার্তা দিয়েছে খোদ মার্কিন কংগ্রেসেরই একটি প্যানেল। যে প্যানেলে শুধু বিরোধী ডেমোক্র্যাট নয়, রয়েছেন খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিজের দলের প্রতিনিধি তথা রিপাবলিকানরাও। অবিলম্বে প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ না বাড়ালে ভয়ানক বিপদ ঘটে যেতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওই প্যানেল।

ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের ডজনখানেক প্রাক্তন শীর্ষ কর্তাকে নিয়ে গঠিত মার্কিন কংগ্রেসের এই প্যানেল সরকারের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে পরামর্শ দিয়ে থাকে। প্যানেলের সদস্যরাই সম্প্রতি একটি রিপোর্টে আমেরিকার জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে মস্কো এবং বেজিং। এমনকি, ওয়াশিংটনকে যুদ্ধে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও অর্জন করে ফেলেছে রাশিয়া-চিন।

প্যানেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, একবিংশ শতাব্দীতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে মিসাইল, সাইবার, আকাশসীমা, ডুবোজাহাজের মতো সামরিক ক্ষেত্রে কার্যত নজরই দেওয়া হয়নি। ফলে কার্যত ফাঁপা হয়ে গিয়েছে এই সব ক্ষেত্রগুলি। ‘প্রায় সমশক্তির শত্রু, বিশেষ করে রাশিয়া এবং চিনের মতো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হলে যে দক্ষতা, পরিকল্পনা ও সামরিক শক্তির প্রয়োজন হয়, তার সব ক্ষেত্রেই দুর্বল হয়ে পড়েছে ওয়াশিংটন। আর এই দুই দেশ এবং তার ‘কূটনৈতিক বন্ধু’রা তো সব সময়ই পেন্টাগনের দিকে তাক করেই আছে।’, বলছে রিপোর্ট।

আরও পড়ুন: রাফাল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে খেই হারাল কেন্দ্র

ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দুই সরকারেরই ২০১১ সাল থেকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ কমানো, সেনা বাহিনীর সুযোগ সুবিধা কমানের তুমুল সমালোচনা করেছেন প্যানেলের সদস্যরা। বলেছেন, ‘‘একাধিক প্রতিকূল সিদ্ধান্ত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় ব্যাপক সংকট তৈরি করছে। ওয়াশিংটনের প্রভাব কমছে এশিয়া-ইওরোপে। ভারসাম্য হারাচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও বাহিনী। দূর্বল হচ্ছে ভূমি, আকাশ ও জলসীমা সুরক্ষা।’’

আরও পডু়ন: শুভেন্দু, শ্রীকান্তকে খুনের হুমকি দিয়ে মাওবাদী পোস্টার মেদিনীপুরে​

প্যানেলের রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে ‘‘মার্কিন সামরিক সেনাবাহিনীতে অভাবনীয় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষতি হতে পারে জাতীয় সম্পত্তির।’’ প্যানেল সদস্যদের সতর্কবার্তা, ‘‘রাশিয়া বা চিনের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ের জন্য প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে, এমনকি হারও হতে পারে। আবার এমন সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে যে, মার্কিন সেনাকে রাশিয়া, চিনের মতো একাধিক শক্তির বিরুদ্ধে এক সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে লড়তে হতে পারে।’’

এ বছর পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা রাশিয়া এবং চিনের প্রতিরক্ষা বাজেটের যোগফলের চেয়েও বেশি। কিন্তু চিন-রাশিয়ার মতো শক্তির সঙ্গে লড়তে গেলে এই পরিমাণও যথেষ্ট নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্যানেলের রিপোর্টে। আরও অন্তত তিন থেকে পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশও করেছেন সদস্যরা।

আমেরিকা থেকে চিন, ব্রিকস থেকে সার্ক- সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

USA Defence War China Russia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE