Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ঢুকতে বাধা হংকংয়ে

আজই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন সেনা বাহিনীর কোনও জাহাজ বা বিমান হংকংয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। তাদের স্পষ্ট বার্তা, আমেরিকা এত দিন যে ভাবে বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের প্ররোচনা জুগিয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে ওই স্বশাসিত এলাকায় জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ঢুকতে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

এত দিন মূলত সপ্তাহান্তে শনি-রবিবারই বিক্ষোভ চলত। সোমবার দুপুরের খাবারের বিরতিতে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখালেন গণতন্ত্রকামীরা। হংকংয়ে। রয়টার্স

এত দিন মূলত সপ্তাহান্তে শনি-রবিবারই বিক্ষোভ চলত। সোমবার দুপুরের খাবারের বিরতিতে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখালেন গণতন্ত্রকামীরা। হংকংয়ে। রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
হংকং শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২৯
Share: Save:

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘হংকং মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র অধিকার’ বিলে সই করার পরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল চিন। এ বার হংকংয়ে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও রণতরীর প্রবেশ আটকে দিল বেজিং।

আজই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন সেনা বাহিনীর কোনও জাহাজ বা বিমান হংকংয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। তাদের স্পষ্ট বার্তা, আমেরিকা এত দিন যে ভাবে বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের প্ররোচনা জুগিয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে ওই স্বশাসিত এলাকায় জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ঢুকতে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে চিন। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প প্রশাসনকে বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘‘আমেরিকাকে ভুল শোধরানোর জন্য আমরা অনুরোধ করছি। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলানো বন্ধ করুক ট্রাম্প প্রশাসন। হংকংয়ের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ করবে চিন।’’

হংকংয়ের উপকূলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর মহড়া নতুন নয়। প্রতি বছরই এই ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। গত এপ্রিলে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ব্লু রিজকে হংকং উপকূলে আটকে দেওয়া হয়েছিল। তখনও পুরো মাত্রায় হংকং অশান্ত হয়নি। তার পরে গত অগস্টেও মার্কিন রণতরীকে হংকংয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ বার সরাসরি আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল চিন।

হংকং নিয়ে চিনের হুঁশিয়ারির কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানায়নি হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও কোনও টুইট করেননি। তবে হংকং নিয়ে দু’দেশের টানাপড়েনের প্রভাব বাণিজ্য চুক্তিতে পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চিনের বারবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও হংকংয়ের মানুষ অবশ্য বিক্ষোভের পথ থেকে সরে আসছেন না। গত সপ্তাহান্তেই সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে ফের পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের। এই অবস্থায় গত কাল হংকং প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে এক নতুন কমিটি গঠনের কথা ভাবা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা অবশ্য তাতে সন্তুষ্ট নন। প্রশাসক ক্যারি ল্যাম যত দিন না তাঁদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিচ্ছেন, বিক্ষোভ চলবেই বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

US China Hong Kong Hong Kong Protest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE