আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া এবং আমেরিকার সম্পর্ক। কিন্তু এ বার সেই সম্পর্কে ‘বরফ গলতে’ চলেছে। নিজেই উদ্যোগী হয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কিম জং উন। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, আর সেই প্রস্তাব গ্রহণও করেছেন ট্রাম্প! আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এ যেন এক আশ্চর্য মোড়।
মাস কয়েক আগেই আমেরিকাকে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। সেই কিম-ই এ বার প্রায় একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে আলোচনার বসতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এমন নজিরবিহীন ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই বেশ কৌতুহলী আন্তর্জাতিক মহল। সত্যিই কি তা হলে এ বার দুই ‘শত্রু’ দেশ হাত মেলাতে চলেছে, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং ইউ ইয়ং সাংবাদিকদের জানান, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। কিম যে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী সেই বার্তাও দিয়েছেন ট্রাম্পকে।
Kim Jong Un talked about denuclearization with the South Korean Representatives, not just a freeze. Also, no missile testing by North Korea during this period of time. Great progress being made but sanctions will remain until an agreement is reached. Meeting being planned!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) March 9, 2018
আরও পড়ুন: অস্ত্রে অরুচি, না পাল্টা চাপ
আরও পড়ুন: আবার গুলি মার্কিন স্কুলে, অধরা খুনি
ইয়ঙের দাবি, মে মাসেই দু’দেশের প্রধান মুখোমুখি হতে পারেন। তবে বৈঠক কোথায় হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। সোলের প্রেসিডেন্সিয়াল ব্লু হাউস সূত্রেও দাবি করা হয়েছে, মে মাসের শেষেক দুই দেশ মিলিত হতে চলেছে।
কিমের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে শুক্রবার ট্রাম্প টুইটারে লেখেন, “দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরিমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে কথা বলেছেন কিম জং উন। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষণও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। অগ্রগতিটা ভালই হচ্ছে। তবে কোনও চুক্তিতে না পৌঁছনো পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার উপর থেকে কোনও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে না। কিমের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা চলছে।”
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের। অসন্তুষ্ট আমেরিকাও। নাছোড়বান্দা কিমকে গোড়ায় ‘শিক্ষা’ দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে বলেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না-থামালে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কোনও কথাই সম্ভব নয়। কিন্তু এ বার কিমই আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার রাস্তায় হাঁটার আগ্রহ দেখালেন। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে শর্তসাপেক্ষে অস্ত্র ছাড়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। আর এই বার্তাই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন কিম।
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনায় আগ্রহী ট্রাম্প। আলোচনার জন্য সমস্ত পথ খোলা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার জন্য। কিন্তু পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে তারা যদি নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না আসে তা হলে এই আলোচনা সম্ভব নয় বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy