মুম্বই হামলায় জড়িত কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে তথ্য দিলেই ৫০ লক্ষ ডলার পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানাল ওয়াশিংটন। —ফাইল চিত্র।
২৬/১১ হামলার দশম বর্ষপূর্তিতে ওই হামলার মূল চক্রীদের শাস্তি দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের উপরে ফের চাপ বাড়াল আমেরিকা। সঙ্গে জুড়ল পুরস্কারের টোপও। মুম্বই হামলায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে তথ্য দিলেই ৫০ লক্ষ ডলার পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানাল ওয়াশিংটন। আজ তাদের ‘রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস’ (‘আরএফজে’) কর্মসূচির আওতায় এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছে, দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা।
পাকিস্তানে মুম্বই হামলার চক্রীদের বিরুদ্ধে মামলা চললেও এখনও পর্যন্ত তাদের শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়নি। হামলার অন্যতম চাঁই হিসেবে চিহ্নিত লস্কর কম্যান্ডার জাকিউর রহমান লকভি এখন জেলের বাইরে। ২০১৫-র এপ্রিলে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে। পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারও এখনও পর্যন্ত তার জামিনকে চ্যালেঞ্জ করার ব্যাপারে ইঙ্গিত দেয়নি। লকভির ছয় সঙ্গী জেলে হলেও বিভিন্ন শিবিরের মতে, তাদের মুক্তিও সময়ের অপেক্ষা।
২০০৮-এর ২৬ থেকে ২৯ নভেম্বর মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলায় ছয় মার্কিন নাগরিক-সহ প্রাণ গিয়েছিল ১৬৬ জনের। ২০১২-তেই লস্কর প্রধান হাফিজ সইদ এবং জঙ্গি নেতা হাফিজ আব্দুল রহমান মক্কিকে বাগে আনতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। আজ ঘোষিত নতুন পুরস্কারের অর্থমূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। বিদেশ দফতরের ঘোষণায় বলা হয়েছে, যে কোনও দেশ থেকে যে কেউ তথ্য দিতে পারেন ‘আরএফজে’ ওয়েবসাইটে। মেল করা যেতে পারে info@rewardsforjustice.net-এ। উত্তর আমেরিকার একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে— ৮০০-৮৭৭-৩৯২৭। নিকটবর্তী মার্কিন দূতাবাস বা কনসুলেটে আঞ্চলিক নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছে গিয়েও তথ্য দিতে পারেন কেউ। সব ক্ষেত্রেই তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখার আশ্বাস দিয়েছে আমেরিকা।
২৬/১১ স্মরণে আজ ভারতের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। নিহতদের পরিবারকে সহানুভূতি জানিয়েই তিনি সুর চড়ান ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে। জঙ্গি দমনে পাকিস্তান কিছুই করছে না— এই অভিযোগ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একাধিক বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামাবাদকে। আজ পম্পেয়ো ফের স্পষ্ট করে দেন, লস্করের মতো জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতেই হবে পাকিস্তানকে। ২০০১-এ লস্করকে প্রথম ‘বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠী’র তালিকাভুক্ত করে ওয়াশিংটন। ২০০৫-এ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক কমিটিও লস্করকে এই তালিকাভুক্ত করেছে। কিন্তু পাকিস্তান এখনও তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy