কটাক্ষে বিব্রত? ছবি- এপি
ইমরান খান সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে এ বার পাকিস্তানকে কটাক্ষ করল আমেরিকা। প্রশ্ন তুলল, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সব মুসলিমকে কি একই চোখে দেখে ইসলামাবাদ? দেখলে কেন চিনে আটক দশ লক্ষ উইঘুরি সম্প্রদায় ও তুর্কিভাষী মুসলিমদের নিয়ে রা কাটে না পাকিস্তান? কেন শুধুই কাশ্মীরের মুসলিমদের নিয়ে কপালের ভাঁজ বাড়ে পাকিস্তানের?
মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের তদারকি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েল্স শুক্রবার রীতিমতো কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘দিল্লি জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারার সুযোগসুবিধা প্রত্যাহার করার পর সেখানকার মুসলিমদের জন্য বড়ই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। অথচ, উইঘুরি সম্প্রদায় ও তুর্কিভাষী দশ লক্ষ মুসলিম আটক রয়েছেন চিনে। তা নিয়ে তো ইসলামাবাদকে কিছু বলতে শোনা যায় না। দেখতে চাই, পশ্চিম চিনে আটক থাকা ওই মুসলিমদের নিয়েও প্রকাশ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করবে ইসলামাবাদ। প্রশ্ন তুলবে।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও যে চিনে আটক লক্ষ লক্ষ উইঘুরি ও তুর্কিভাষী মুসলিমদের নিয়ে আলোচনা হতে চলেছে, সে কথা জানিয়ে অ্যালিসের প্রশ্ন, ‘‘সেখানে কেন পাকিস্তান একটি কথাও বলল না?’’
আরও পড়ুন- নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে ভারতে ঢোকার ছক কষছে পাক কট্টরপন্থীরা!
আরও পড়ুন- মোদীকে ‘কাশ্মীর প্রতিশ্রুতি’ পালন করতে বললেন ট্রাম্প
মার্কিন কূটনীতিকের এই কটাক্ষ যে একেবারেই আচমকা, তা কিন্তু নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের আগে একটি মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংগঠন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে তুলেছিল উইঘুরিদের প্রসঙ্গ। গত সোমবার। জানতে চেয়েছিল তাঁর মতামত, পাকিস্তানের অবস্থান।
কিন্তু ইমরান সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। বলেন, ‘‘চিনের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আমরা শুধুই নিজের মধ্যে কথা বলব। আর কারও সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব না।’’ চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক বহু দিনের।
হালে ব্যবসায়িক স্বার্থে চিন ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করিডর গড়ে তোলার প্রস্তুতিতে সেই সম্পর্ক তো মজবুত হয়েছেই, গড়ে উঠেছে জোরদার অর্থনৈতিক সম্পর্কও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy