মাসুদ আজহার। ছবি- এএফপি
সন্ত্রাস দমনের প্রশ্নে এখনও কেন পাকিস্তানকে আড়াল করে চলেছে চিন? কেন মাসুদ আজহারের মতো কট্টর জঙ্গিকে বেজিং আড়াল করছে? সন্ত্রাসদমনের ক্ষেত্রে চিনের তো বড় দায়িত্ব রয়েছে। এ ব্যাপারে আমেরিকার সঙ্গে অঙ্গীকারও করেছে চিন। তার পরেও সেই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়াটা উচিত হচ্ছে না বেজিংয়ের।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে চিনের ভূমিকায় এই ভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হোয়াইট হাউসের এক পদস্থ কর্তা। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, পাকিস্তানকে আড়াল না করারও দায়িত্ব রয়েছে চিনের। অন্যান্য দেশের সুরে সুর মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিনেরও বলা উচিত ইসলামাবাদকে। কিন্তু বেজিং সেটা করছে না।’’
গত সপ্তাহেই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে চিন ভেটো দিয়েছে মাসুদকে ‘বিশ্বনিন্দিত সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণার পদক্ষেপে। প্রস্তাব এনেছিল আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। এই প্রথম নয়, মাসুদের প্রশ্নে এর আগেও তিন বার ভেটো দিয়েছে বেজিং। কোনও প্রস্তাব রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হতে গেলে সদস্য দেশগুলির প্রত্যেককে ঐকমত্যে পৌঁছতে হয়।
আরও পড়ুন- মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে এ বার উদ্যোগী হল জার্মানি
আরও পড়ুন- ভারতে ফের জঙ্গি হামলা হলে খুব বিপদে পড়বে পাকিস্তান, হুঁশিয়ারি আমেরিকার
হোয়াইট হাউসের ওই পদস্থ কর্তার প্রশ্ন, ‘‘যখন মাসুদ আজহারের হাতে গড়া সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ কোনও রাখঢাক না রেখেই পুলুওয়ামা কাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে, তখনও কেন মাসুদকে বিশ্বনিন্দিত সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার পদক্ষেপে ভেটো দিল চিন?’’
তাঁর আরও বক্তব্য, এর আগেও ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল জইশের। ২০০১ সালে ভারতের সংসদ ভবনে জঙ্গি হামলার ঘটনাও ঘটিয়েছিল জইশ।
ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি ও সুস্থিতি রক্ষায় আমেরিকা ও চিন যে অঙ্গীকারবদ্ধ, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে হোয়াইট হাউসের পদস্থ কর্তা বলেছেন, ‘‘ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের লক্ষ্যটা মূলত একই। সেটা হল, ভারতীয় উপমহাদেশে শান্তি ও সুস্থিতি রক্ষায় কড়া হাতে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা। এ ব্যাপারে দু’টি দেশই অঙ্গীকারবদ্ধ। সে ক্ষেত্রে আমেরিকা যখন মাসুদকে বিশ্বনিন্দিত সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার পক্ষপাতী, তখন সেই প্রস্তাবে ভেটো দিয়ে কি বেজিং তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে না? চিন এটা কেন করছে আমরা বুঝতে পারছি না।’’
ও দিকে মাসুদকে ‘কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণার জন্য ইতিমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে সচেষ্ট হয়েছে জার্মানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy